হাকালুকি হাওরে ফুটেছে সূর্যমুখীর হাসি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৯ পিএম

সূর্যমুখী ফুল। ছবি: প্রতিনিধি

সূর্যমুখী ফুল। ছবি: প্রতিনিধি

এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর যেন এক সূর্যের মিলনমেলা। হাওরের বুক চিরে হলুদ ফুলের রাজ্য যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্রতিনিয়ত। গাছে গাছে হলুদ সূর্যমুখী ফুলের বাগানে হারিয়ে যেতে যেন মন চায়। বিস্তীর্ণ সূর্যমুখী ফুলের হলুদাভাব দৃশ্যটি যে কারো মনকে আকৃষ্ট করে তোলে অনায়াসে, তাই তো প্রতিনিয়ত পর্যটকরা ভিড় করছে হলদে রানির রাজ্যে।

সারি সারি সূর্যমুখী গাছের ডগায় বড় বড় ফুল, যেন দিগন্তজুড়ে হলুদের সমারোহ। সকাল গড়িয়ে বিকেলে যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে ঠিক তখনই হাকালুকির সৌন্দর্য যেন ফুটে ওঠে সূর্যমুখীর হাসিতে। মৃদু রোদে দূর থেকে মনে হয় যেন সূর্যের মেলা বসেছে। সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন পর্যটকরা ভিড় করছে হাকালুকির বুকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সূর্যমুখী ফুলের ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে কৃষকের মায়ার ফসলি জমি। তবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ যে শুধু বিনোদনের জন্য তা ভাবলে ভুল হবে। মূলত খাদ্য চাহিদা মেটাতে তেল উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের প্রণোদনাসহ উৎসাহ দিচ্ছে।

হাকালুকি হাওরে সূর্যমুখী চাষ করা তাজুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সূর্যমুখী চাষ আর সম্প্রসারণ করব। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শের পাশাপাশি বিনামূল্যে বীজ পেয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রণোদনার আওতায় জুড়ীতে ২১০ জন কৃষক সূর্যমুখী চাষ করেছে। এবার উপজেলায় থেকে ২১০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। চাষকৃত সূর্যমুখীর মধ্যে হাইসান-৩৩, আরডিএস ২৭৫ জাতের আবাদ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, জুড়ী উপজেলায় মোট ২৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী চাষ করে কৃষকরা যাতে লাভবান হয় সেই লক্ষ্যে সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে। সূর্যমুখী ভোজ্য তেল হিসেবে গুণগত মানের দিক থেকে বেশ ভালো। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, জেলায় ধীরে ধীরে সূর্যমুখী চাষের চাহিদা বাড়ছে। জেলার প্রতিটি সূর্যমুখী চাষিকে সব ধরনের সরকারি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ চাষে রোগবালাই ও খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh