সেন্টমার্টিনে সুরমার বদলে খাওয়ানো হলো পাঙাশ

তাহজীবুল আনাম, কক্সবাজার

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:২৮ পিএম

ইউরো বাংলা রেস্তোরাঁ

ইউরো বাংলা রেস্তোরাঁ

সেন্টমার্টিনে ইউরো বাংলা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে পর্যটক। গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউরো বাংলা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে যায় ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া ১৮ জনের একটি দল। সেখানে পর্যটকরা দুপুরের খাবার তালিকায় অর্ডার করেন সুরমা মাছ, কিন্তু খাওয়ানো হলো পাঙাশ। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ সুরমা মাছের টাকা নিয়ে পর্যটকদের খাওয়ালেন পাঙাশ। 

প্রতারণার শিকার পর্যটক কেএম সজিব বলেন, ইউরো বাংলা রেস্তোরাঁয় আমরা দুপুরের খাবার অর্ডার করলাম সুরমা মাছ। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ সুরমা মাছের মূল্য যা চাইলো তাই দিলাম। কিন্তু খাবার খেতে গিয়ে দেখি যা খাওয়ানো হচ্ছে তা আসলে সুরমা না, দেয়া হচ্ছে পাঙাশ। পরে রেস্তোরাঁ মালিককে জানালে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান। স্বনামধন্য পর্যটন এলাকায় এমন প্রতারণা। মানুষ কি দেখে সেন্টমার্টিন আসবে? 

ঢাকা থেকে আগত সাংবাদিক ওয়াশিকুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনে সবদিক দিয়েই  প্রতারণার ফাঁদ। নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করেও সঠিক জিনিসটি পাওয়া যায় না। অনলাইন থেকে হোটেল রুম বুকিং দিতে গিয়ে ছবিতে দেখায় একটি, এখানে এসে পাওয়া যায় ভিন্ন। এক জিনিসের পরিবর্তে দেয়া হয় অন্য জিনিস। সেন্টমার্টিনে আসলে কোনো কিছুই ঠিক নেই। গাড়ি ভাড়া, হোটেল ভাড়া ও খাবার রেস্তোরাঁসহ সবদিকে সিন্ডিকেট। এখানে   পর্যটকদের পাঁচগুণ বেশি দাম পরিশোধ করতে হয়৷ চরম অব্যবস্থাপনা সেন্টমার্টিন পর্যটন শিল্পে। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী দখলে নিয়েছে সেন্টমার্টিনের পর্যটনশিল্প। অসাধু ব্যবসায়ীদের দমন করতে না পারলে এক সময় দেখা যাবে পর্যটক বিমুখ হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

প্রতারণার শিকার পর্যটক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা ১৮ জনের জন্যে শনিবার দুপুরে খাবার অর্ডার করি ইউরো বাংলা রেস্তোরাঁয়। সেখানে চাহিদায় অর্ডার দেয়া হয় সুরমা মাছ। এক ঘণ্টা পর খাবার এলো, মুখে দিয়ে দেখি এসব আসলে সুরমা মাছ না, খাওয়ানো হচ্ছে  পাঙাশ। এটা নিয়ে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ব্যস্ততা দেখিয়ে কোনো কথা বলেনি।

আরেক পর্যটক দিদার ফেরদৌস বলেন, এবার সেন্টমার্টিনে খুব বাজে অভিজ্ঞতা হলো। এখানে সবদিকে সিন্ডিকেট ও চরম অব্যবস্থাপনা। সেন্টমার্টিনে জীবনে আর যাওয়া হবে না।

সেন্টমার্টিনের ইউরো বাংলা রেস্তোরাঁ মালিক মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, এ ধরনের কাজ হওয়ার কথা না। আমি ম্যানেজারের সাথে কথা বলছি। কেন এমন করা হলো।

কক্সবাজার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) আনিসুর রহমান বলেন, পর্যটন এলাকা সেন্টমার্টিনে এ ধরণের প্রতারণা আসলেই দুঃখজনক। আমরা   অভিযোগ পেলে, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh