ইবিতে র‌্যাগিং: সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:২০ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে সম্প্রতি এক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির ডাকে শনিবার ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। প্রায় চার ঘন্টাব্যাপী সেদিনের রাতের ঘটে যাওয়া বর্ণনা শুনেন উভয় তদন্ত কমিটি।

এছাড়া ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তদন্তের স্বার্থে ২০শে ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেত্রী ও তার সহযোগী ক্যাম্পাসে এসেছে। সকাল ৯টা হতে এখন পর্যন্ত তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।

এদিকে নির্যাতনের ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। মনিটর সচল থাকলেও বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ায় ফুটেজ আছে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে তদন্ত কমিটির আহবায়ক হল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চান। শনিবার ফুটেজ উদ্ধার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন কর্তৃপক্ষ। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের দুই টেকনিশিয়ানের শরণাপন্ন হন। তারাও ফুটেজ উদ্ধারে সক্ষম হয়নি। সিসিটিভি দেখতে গিয়ে ফুটেজে ১৯৭০ সালের সময় দেখা যায়। বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফুটেজে এতো পুরাতন সময় দেখা গেছে।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসানুল আম্বিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এরকম প্রত্যেকটা ডিভাইসে সাধারণত এক ধরণের বায়োসের ব্যাটারি লাগানো থাকে। যন্ত্রটি বন্ধ রাখার পরও যেন টাইমিংটা ঠিক থাকে সেজন্য এই ব্যাটারি লাগানো হয়। সিসি ক্যামেরা ও এর যন্ত্রপাতি হল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ইনস্টল করেছিলো। কবে বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হয়েছে তা হয়তো তারা বুঝতে পারেনি। কারণ এই ব্যাটারি নষ্ট থাকলেও মনিটরে সিসি ফুটেজ দেখা যায়।

তিনি আরো বলেন, ওই ব্যাটারির মাধ্যমে সিসি ফুটেজে তারিখ ও সময় দেখা যায়। সেটি নষ্ট থাকায় ইনিশিয়াল ডেট এ চলে গেছে। ফুটেজ হার্ডডিস্কে থাকার কথা। সেখান থেকে আমরা ফুটেজ রিকভারি করার চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ওই রাতে আসলে কি ঘটেছিলো সেই তথ্য উদঘাটনে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছিলো। হল কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করতে পারেনি। তারা কিছুদিন সময় নিয়েছে। ফুটেজ আমাদের তদন্তের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছি।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, হলের প্রধান ফটক, অফিস ও করিডোরসহ মোট ১২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে আমরা এখনো ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারিনি। হার্ডডিস্কে সমস্যা হওয়ায় ফুটেজ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে সব পাওয়া যাবে বলে আশা রাখছি।

হলের সিসিটিভি কারা দেখভাল করে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট বলেন, এগুলোও আমরাই দেখি। তবে আমরা তো এসবে অতটা দক্ষ না। এ জন্য মাঝেমধ্যে আইসিটি সেলের কাছে শরণাপন্ন হতে হয়। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh