কথা রাখলেন না দস্যু ফজলু শেখ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম

পুলিশের হাতে আটক দস্যু ফজলু বাহিনীর চার সদস্য। ছবি: প্রতিনিধি

পুলিশের হাতে আটক দস্যু ফজলু বাহিনীর চার সদস্য। ছবি: প্রতিনিধি

সুন্দরবন থেকে দস্যু ফজলু বাহিনীর চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এদের প্রধান মো. ফজলু শেখ (৪২) দস্যুতা ছেড়ে সরকারের আহবানে আত্মসমর্পণ করেছিলেন; কিন্তু আবারও তিনি সুন্দরবনে দস্যুতা শুরু করেন। তার বাহিনীতে পাঁচ জন সদস্য ছিল। এরই মধ্যে পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। অন্যজনকেও আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।

এসময়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান, মো.  রাসেলুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলমসহ পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে গোপন সংবাদেরভিত্তিতে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদী সংলগ্ন সূর্যমুখী খাল থেকে মোংলা থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই দস্যুদের আটক করে।

এরা হলেন, রামপাল উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা মৃত আহাদ আলীর ছেলে মো. ফজলু শেখ (৪২), শিকিরডাঙ্গা এলাকার মো. মোতালেব শেখের ছেলে মজনু শেখ (৩০), পেড়িখালী মৃত জোনাব আলী মোড়লের ছেলে শাহাদাৎ মোড়ল (৪০) ও জিগিরমোল্লা এলাকার নজরুল শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ (৩২)।

এ সময় এদের কাছ থেকে একটি কাঠের পুরাতন ডিঙ্গি নৌকা, দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, দেশীয় তৈরি ওয়ান সুটার গান,  সাতটি সীসার কার্তুজ, দুইটি কাঠের বাটসহ রামদা, দুটি লোহার হাতুড়ি, লোহার পাইপ, চারটি টর্চ লাইট, চারটি পুরাতন সুতি চেকের গামছা, ১০ টুকরা নাইলনের রশি, দুটি স্কচ টেপ, চারটি বিভিন্ন সাইজের গাছের ডালের লাঠি, দুটি মানকি টুপি জব্দ করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোংলা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, বনদস্যু ফজলু শেখ আত্মসমর্পণকৃত দস্যু হিসেবে পুনর্বাসনের জন্য সরকারি সহযোগিতা পেয়েছেন। এরপরেও সে দস্যুতার সাথে লিপ্ত হয়েছে। ফজলু বাহিনীর অন্য যে সদস্য রয়েছে, তাকে আটকের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আটককৃত দস্যুরা কি বরগুনার জেলে অপহরণের সাথে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করা হবে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে, নানা আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। সেসব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh