নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আহসান হাবিব খান। ছবি: সংগৃহীত
ভোটে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আহসান হাবিব খান বলেছেন ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য নির্বাচন কমিশন বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আজ বুধবার (১ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে জাতীয় ভোটার দিবস সামনে রেখে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সারাদেশে
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) পালিত হবে জাতীয় ভোটার দিবস। এ উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের আহসান হাবীব
খান বলেন, ‘আমরা সারা বছরই
ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। হালনাগাদে নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরেও
সারাবছরই যোগ্যরা ভোটার হতে পারছেন। প্রত্যেক ভোটারের নাগরিক অধিকার তার
ভোটাধিকার। এ অধিকার রক্ষায় আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তা
অব্যাহত থাকবে।’
ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের ‘সেফটি’র বিষয়ে
কমিশন বদ্ধপরিকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব) আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ভোটে আসুন সবাই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা
হোক। গোলযোগ, সহিংসতা পরিহার
করতে হবে; নির্বাচন কমিশনও
অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর অবস্থান রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে ভোটের মাঠেও
ভারসাম্য থাকবে।
তিনি আরও বলেন,
নির্বাচনের ফলাফল মেনে
নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে সবাইকে। যেকোনো উপায়েই জিততে হবে এমন প্রবণতা থেকে
যেমন বেরিয়ে আসতে হবে, তেমনই পরাজয় মেনে
নেওয়া প্রবণতা থাকতে হবে।
তিনি বলেন,
‘আমরা নির্বাচন কমিশন শুধু
ভালো নির্বাচন করব; কিন্তু যিনি বা
যারা পরাজিত হবেন তিনি বা তারা সমালোচনায় মুখর হবেন তা সমীচীন নয়। নির্বাচনের
গুণগত সংস্কৃতির বিকাশে ভোটার, দল, অংশীজনসহ সবার সহযোগিতা দরকার। ভোট নিয়ে
কল্পনাপ্রসূত কোনো শঙ্কার বশবর্তী হয়ে নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতিও কাঙ্ক্ষিত নয়।’
নির্বাচন কমিশনার
আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ভয়ভীতিহীন
নির্বাচন ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ করতে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ তৎপর। নিজেদের মেয়াদের
প্রথম বছরে এ পযন্ত যত নির্বাচন হয়েছে তাতে যেখানে বাধা, অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া
হয়েছে। এ পর্যন্ত বর্তমান ইসির অধীনে পাঁচ শতাধিক নির্বাচন হয়েছে; যার সিহংভাগই ইভিএমে। এসব ভোটে নির্ভরযোগ্য কোনো
অভিযোগ তো আসেইনি এবং সংক্ষুব্ধ কেউ আদালতেও দ্বারস্থ হয়নি। ইভিএমের নির্বাচনে
ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া প্রসারিত করেছে। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে
অবাঞ্ছিত লোকের উপস্থিতি ও কেন্দ্রে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে
কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।