পাবনায় সড়কে চাঁদাবাজি

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৭ পিএম

সড়কে প্রতিদিন চলছে চাঁদাবাজি। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি

সড়কে প্রতিদিন চলছে চাঁদাবাজি। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি

দেশের সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহণে চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে দীর্ঘদিন ধরে। পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার টার্মিনাল এবং গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থান থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা উঠানো হচ্ছে। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিন চলছে এই চাঁদাবাজি।

পিকআপ চালক রবিউল জানান, আজ সাঁথিয়া বাজার হয়ে আসার সময় দুই জায়গায় টাকা নিয়েছে, এক জায়গা ৫০ টাকা ও অন্য জায়গায় ২০ টাকা। টাকা দিতে না চাইলে বলে গাড়ি রেখে যান। এর চেয়ে বেশি কিছু বললে আমাদের উপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। পরে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে যেতে হয়। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনার সাঁথিয়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাঁথিয়া পৌর এলাকায় ইছামতির পাশ দিয়ে বয়ে চলা সড়কে একটা ছেলে ছোট-বড় গাড়ি থেকে দিয়ে সিগনাল দিয়ে গাড়ি থেকে ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা করে নিচ্ছে।

ছেলেটাকে কেন কিসের টাকা নিচ্ছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাঁথিয়া পৌরসভার টোল, পৌরসভার অনুমতিতেই নেওয়া হচ্ছে। কাছে গিয়ে টোকেন দেখতে চাইলে তিনি সাঁথিয়া পৌরসভা অনুমোদিত একটা টোকেন দেখান। যার ক্রমিক নং ২৩২৩। 

প্রতিটা ছোট-বড় গাড়ি থেকে টাকা তুলছে ঝন্টু নামের এক ব্যক্তি। গাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে ঝন্টুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাঁথিয়া পৌরসভার পিয়ন পরিচয় দিয়ে বলেন, গাড়ি থেকে যে টাকা নিচ্ছি এটা সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়রের নির্দেশে। আপনি মেয়রের সাথে কথা বলেন।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মো. মাহবুবুল আলম বাচ্চুর  সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পৌর এলাকার বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু লোড-আনলোডের টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া কোন গাড়ি থেকে কোন চাঁদা নেওয়া হয় না। 

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাঁথিয়া পৌরসভার মধ্যে বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, পৌরসভার টোকেনে টাকা তোলা হয়। এছাড়াও বিষয়টি কেও আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh