বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম
জলবায়ু ধর্মঘট এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রা। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়েছে বরিশালের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।
বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) অর্থায়ন বন্ধ এবং এলএনজি আমদানি নির্ভরতা কমাতেও সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ ও জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে টেকসই প্রকল্পে বিনিয়োগের দাবি তরুণ জলবায়ু কর্মীদের।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে জলবায়ু ধর্মঘট এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে এ দাবি জানান বক্তারা।
সুইডিস জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের গড়ে তোলা স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ গ্রুপ, প্রতীকী যুব সংসদ ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এ জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজন করে। এসময় বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে শতাধিক তরুণ অংশ নেয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন- ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের অ্যাডভোকেসি এবং ক্যাম্পেইন সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান শুভ, জেলা সমন্বয়কারী সিয়াম সিকদার, সদস্য ময়ূরী আক্তার টুম্পা, রাইট একাডেমি শিক্ষক নজরুল ইসলাম এবং শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিভিন্ন সমমনা সংগঠনের সদস্য এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দেশের ২৬টি জেলার তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বিশ্বব্যাপী এই জলবায়ু ধর্মঘটের দাবিগুলোর সাথে সংহতি প্রকাশ করে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্রমাগত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়ায় উন্নত দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে তরুণরা জলবায়ু কর্মীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব এখন জটিল সময় পার করছে। যা ইতিমধ্যে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে।
উন্নত দেশগুলোকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ এ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এখনই উদ্যোগী হতে হবে। সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে জলবায়ু বিধ্বংসী কার্যকলাপের জন্য দায় নিতে হবে এবং সেখান থেকে সরে এসে অবিলম্বে উল্লেখযোগ্যভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর দাবি জানান তারা।