ঢাকাকে প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের ‘রিকশা বিন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩, ১০:৫০ পিএম

আপাতত ২০০ রিকশাকে এই প্রজেক্টের আওতায় এনেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। ছবি: সংগৃহীত

আপাতত ২০০ রিকশাকে এই প্রজেক্টের আওতায় এনেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। ছবি: সংগৃহীত

‘রিকশা বিন’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, যেখানে রিকশাচালকদের প্লাস্টিক বর্জ্য জমা করার জন্য টাকা দেয়া হবে।

গতকাল বুধবার (১ মার্চ) ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২০০ রিকশাচালককে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

সংগঠনটি তার পেজে কিছু ছবি পোস্ট করে বলেছে, রিকশা বিনের প্লাস্টিক জমা করে যাচ্ছেন ভাঙ্গারী স্টোরে। বিনিময়ে মিলছে অর্থ। হতে পারে সামান্য। কিন্তু দূর্মূল্যের বাজারের গরীবের কাছে এই এক টাকাই এখন লাখ টাকার সমান।

পোস্টে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি কাজেই খুঁত ধরাটা মানুষের জন্মগত স্বভাব। 'রিকশা বিন' প্রজেক্টেও তার ব্যতিক্রম নয়। খারাপ কাজে ব্যবহার হবে, এমন চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরলে ভালো চিন্তা আসবে কিভাবে?


এতে আরও বলা হয়েছে, আপাতত ২০০ রিকশাকে এই প্রজেক্টের আওতায় আনছি। শুরুটা না হয় আমরা করলাম। বাকীটা করতে সকলের সহযোগীতা দরকার।

এর আগে, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সেন্টমার্টিন দ্বীপকে পরিষ্কার করতে এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে একটি ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর’ খুলেছিল।

স্টোরের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে চাল, ডাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিচ্ছে বিদ্যানন্দ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, দেশে প্রতিদিন প্রায় ১৭০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় এবং এর মাত্র অর্ধেক পুনর্ব্যবহার করা হয়।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই প্লাস্টিক বর্জ্য ২০০৫ সালে প্রতিদিন ১৭৮ টন থেকে ২০২০ সালে প্রতিদিন ৬৪৬ টন অর্থাৎ, সাড়ে তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। এই ৬৪৬ টনের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh