বিদ্যুতে সীমাহীন সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৩, ১০:০৯ এএম

বিদ্যুৎ সঞ্চালন তার। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ সঞ্চালন তার। ছবি: সংগৃহীত

আবাসিক থেকে ক্ষুদ্র শিল্প, বাণিজ্যিক কিংবা সেচ- সর্বত্রই বিদ্যুতের সীমাহীন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে শূন্য ভর্তুকি নীতি বাস্তবায়নের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুলিয়ার অবস্থিত চামড়ার কারখানাগুলোতে বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতি মাসে সমন্বয় করতে হচ্ছে তাদের। এতে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে বহুগুণে। যার প্রভাব পড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে।

আশুলিয়ার এক চামড়া কারখানার মালিক শরীফ উদ্দিন বলেন, আগের থেকে জেনারেটরের খরচ বেড়ে যাচ্ছে ৬০-৭০ হাজার টাকা। এর পুরটাই আমাদের অতিরিক্ত খরচ। জ্বালানি তেলের পাশাপাশি যদি বিদ্যুতের দাম বাড়তে থাকে তবে সব কাঁচামালেরও দাম বেড়ে যাবে। এতে শুধু উৎপাদন খরচ বাড়বে তা না সব খরচই বেড়ে যাবে, সেই সঙ্গে আমরা বিপদে পরে যাব।

আবাসিক গ্রাহকদের পাশাপাশি, বিদ্যুতের ধারাবাহিক দামবৃদ্ধিতে বড় সঙ্কটে পড়েছের শরীফের মতো ছোট ব্যবসায়ীরা। ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা নিয়ে। এমন অবস্থায় ব্যবসা গুটানোর চিন্তাও করছেন কেউ কেউ। 

তথ্য বলছে, গেলো দুই মাসে, ক্ষুদ্রশিল্পে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি দাম, সোয়া আট টাকা থেকে চলে গেছে ১০ টাকায়। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে, ১০ টাকার বিদ্যুৎ কিনতে হবে প্রায় ১২ টাকা দরে। অর্থাৎ, গড়ে দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশ। অথচ, অর্থনীতির সিংহভাগ জায়গা এখনো দখলে রেখেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরূল ইমাম বলেন, মানুষের আয় তো বাড়েনি অথচ ব্যয় একাধারে বেড়েই চলছে। এমন অবস্থায় বিদ্যুতের দাম যদি প্রতি মাসে ক্রমাগত বাড়িয়ে দেয়া হয় তবে সেটা ধারণ করার ক্ষমতা এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের থাকবে না। তারা একদম নুইয়ে পড়বে। একটি জনবান্ধব সরকারের দায়িত্ব এই জিনিসটা দেখা, যেখানে এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া যাবে না যেখানে জনগণ চরম সংকটে পরে। 

তিনি মনে করেন, ভর্তুকি তুলে দেয়ার চিন্তা থেকে সরে না এলে, বড় খেসারত দিতে হবে সরকারকে।

পিডিবির হিসাবে, বর্তমানে প্রতি ইউনিটের উৎপাদন ব্যয় ১১ টাকা। যা গড়ে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭ টাকায়। এই ভর্তুকি শূন্যে আনতে ধারাবাহিক সমন্বয় অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে সরকার।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh