বাঁশের সাঁকোই নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪০ এএম

বাঁশের সাঁকো। ছবি: সংগৃহীত

বাঁশের সাঁকো। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষের চলাচলের পথে একটি মাত্র ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যুগের পর যুগ। বংশাই নদীতে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই এখন একমাত্র ভরসা। একটি ব্রিজের অভাবে গ্রামগুলো শহর থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে স্কুলের শিক্ষার্থী ও কৃষকরা।

যোগাযোগ ব্যবস্থা নিম্নমানের হওয়ায় সঠিক সময় চিকিৎসা নিতে পারছে না বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েরা। গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা গর্ভবতীদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এছাড়াও স্থানীয় তিনটি প্রাইমারি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। এতে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয় অভিভাবকদের। কারণ এর পূর্বে অনেক বার সাঁকো থেকে নদীর পানিতে পড়ে শিক্ষার্থী হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলতলী, দক্ষিণ হিজলতলী, মাঝিপাড়া, গজারিয়া, সূত্রাপুরসহ পাঁচ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে বংশাই নদী পার হয়ে কালিয়াকৈর শহরে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এলাকাবাসীর কয়েক বছর ধরে এ নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর সাত্তার জানান, গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের যৌথ সহযোগিতায় ৪ থেকে ৫ বছর আগে হাঁটার জন্য ওই নদীর উপর কাঠের একটি ব্রিজ নির্মাণ করি। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। আগের মতো এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধি যদি সহযোগিতার হাত বাড়ায় তবে ব্রিজটি নির্মাণ করতে পারব। আমাদের একার পক্ষে ওই ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব হবে না।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, বংশাই নদীর উপর নির্মিত কাঠের ও বাঁশের ব্রিজটি বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকাবাসীর নদী পারাপারের সমস্যা হচ্ছে। শুনেছি এলাকাবাসী কয়েকটি বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে নদী পারাপার হয়। আমরা সমস্যাটি মন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করব।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh