পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক দুই

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৫ পিএম | আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম

তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা ও একরাম হোসেন। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা ও একরাম হোসেন। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এদিকে কনস্টেবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা প্রতারক চক্রের মূল হোতা একরাম হোসেনকেও আটক করা হয়।

গতকাল সোমবার (৬ মার্চ) কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল ও হোটেল আলহেরায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আহমেদ নাসির উদ্দীন মোহাম্মদ।

তিনি জানান, সোমবার কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। কেন্দ্র ছিল কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল। সেই কেন্দ্রে রোল ৭১১০১৩০ নম্বরের পরীক্ষার্থী ছিলেন হারুন অর রশিদ। হারুন কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে। কিন্তু পরীক্ষার সময় তার স্থলে কেন্দ্রে হাজির হন কুতুবদিয়ার লেমশীখালী হাবীব নাজিরপাড়া এলাকার বাবলা। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে বাবলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শহরের হোটেল আল হেরায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আল হেরার ৩২৫ নম্বর কক্ষ থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা একরাম হোসেনকে আটক করা হয়। একরাম কুতুবদিয়ার লেমশীখালী সিদ্দিক হাজিরপাড়া এলাকার ছাবের আহমেদের ছেলে।

এ সময় তার কাছ থেকে রশীদের আরেকটি প্রবেশপত্র, নগদ ৫০ হাজার টাকা, বাবলার ১টি মোবাইল ও অন্য একজন প্রক্সি পরীক্ষার্থী মিরাজের ১টি মোবাইল ফোন এবং একরামের নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

এসময় চক্রের মূল হোতা একরামের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম, প্রক্সি পরীক্ষার্থী মিরাজ, পলাতক পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ডিবির ওসি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh