জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সমাবর্তনের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ ও সকল গণতান্ত্রিক পর্ষদের নির্বাচন চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ এর দেয়া বিবৃতিকে অরুচিকর ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের অসৎ বলে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।
এছাড়াও বিবৃতিতে নির্বাচনের জন্য ‘অস্থির’ না হতে বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নূরুল আলম কয়েক মাস হয় উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছেন। প্রথমে রুটিন ও পরে সাময়িক দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে উপাচার্যের প্যানেল নির্বাচন সম্পন্ন করেন। পরে প্যানেলে নির্বাচিত হয়ে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মহামান্য আচার্য কর্তৃক উপাচার্য নিয়োগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একাডেমিক ও গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন।
উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই ৬ষ্ঠ সমাবর্তনের আয়োজন করাকে উপাচার্যের কৃতিত্ব উল্লেখ করে বলা হয়, সমাবর্তন সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি (উপাচার্য) খাতওয়ারি আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমরা সকলেই জানি সমাবর্তনের মত বৃহৎ একাডেমিক কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর নেই। এত বড় আয়োজনের বিভিন্ন খাতের হিসাব চূড়ান্ত করার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু সে সময় না দিয়েই অরুচিকরভাবে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ এর নামে একটি আপত্তিকর লিফলেট প্রচার করা হয়েছে। যা অত্যন্ত নিম্নরুচি ও অশিক্ষকসুলভ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে এ লিফলেটের মাধ্যমে এর প্রচারকারীরা নিজেদের অসততাকেই উন্মুক্ত করেছেন। নিশ্চয় তাদের সময়ের সমাবর্তনে (বিএনপি শাসনামলে ) আয়-ব্যয়ে অনেক অসঙ্গতি ছিল। তারা নিজেরা হয়ত লুটপাটে জড়িত ছিলেন।
তাই ধরেই নিয়েছেন বর্তমান প্রশাসনও তাদের মত আয়-ব্যয়ের হিসাব আড়াল করতে চান। এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য বর্তমানে হিসাব আড়াল করার প্রশ্নই আসেনা। যথা সময়ে যথাস্থানে তা তুলে ধরা হবে।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের লিফলেটে উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, সকলেই জানেন এমন সক্রিয় উপাচার্য কম দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানামাত্রিক ঘটনা-দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল এবং তিনি নিজে অথবা সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সদা তৎপর।
গণতান্ত্রিক পর্ষদের নির্বাচনের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অস্থির হওয়ার কিছু নেই। আশা করা যায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে মাননীয় উপাচার্য দ্রুত সব পর্ষদের নির্বাচন আয়োজন করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২মার্চ অনতিবিলম্বে সমাবর্তনের আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে উন্মুক্ত করার ও মেয়াদোত্তীর্ণ সকল গণতান্ত্রিক পর্ষদের নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবিতে বিবৃতি দেওয়া জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। বিবৃতিতে নেতারা জাবির মেয়াদোত্তীর্ণ ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট, শিক্ষা পর্ষদ, অর্থ কমিটিসহ সকল পর্ষদের নির্বাচনের দাবি জানায়।