৩৭ বছরেও চালু হয়নি মোগলহাট স্থলবন্দর

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৯:০২ এএম

মোগলহাট স্থলবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

মোগলহাট স্থলবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

আশার বাণী লাল ফিতায় বন্দির ৩৬ বছর পেরিয়ে ৩৭ বছর হলেও চালু হয়নি লালমনিরহাটের মোগলহাট স্থলবন্দর। স্থলবন্দরটি চালু হলে বদলে যাবে জেলার অর্থনীতি। কর্মসংস্থান হবে হাজার হাজার বেকার মানুষের। অনুসন্ধানে জানা গেছে, লালমনিরহাট শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মোগলহাট। শহরের সঙ্গে মোগলহাটের সড়ক যোগাযোগ খুবই উন্নত। এক সময় ট্রেন যোগাযোগও ছিল, কিন্তু এখন তা বন্ধ।

মোগলহাট থেকে ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিতালদহের দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। মোগলহাট ও গিতালদহ রুটের মাঝখানে অবস্থিত ধরলা নদী। এক সময় মোগলহাটে ছিল স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট। মোগলহাট গিতালদহ রুটে নিয়মিত পণ্য আমদানি রপ্তানি হতো এবং পাসপোর্টধারী যাত্রীরা চলাচল করত।

এখনো ১১৭ শতাংশ জমির ওপর স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্মিত স্থাপনা কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। মোগলহাট স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুনরায় চালুর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন।

১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার কারণে মোগলহাট গিতালদহ রুটে ধরলা নদীর ওপর সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে বন্ধ হয়ে যায় স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যক্রম ২০০২ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। জেলায় বুড়িমারী স্থলবন্দর থাকলেও সেটি শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। দূরত্বের কারণে এখানকার ব্যবসায়ীরা বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারছে না।

২০১৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান চারদেশীয় ব্যবসায়ীদের সভা অনুষ্ঠিত হয় ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে। এতে মোগলহাট গিতালদহ রুটে স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুনরায় চালুর বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এই স্থলবন্দর পুনরায় চালু হলে ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে ব্যবসায়ীরা।

লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবির বলেন, মোগলহাট স্থলবন্দরটি চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে মাত্র। ব্রিটিশ আমল থেকেই মোগলহাট স্থলবন্দরটি চলমান থাকায় ভারতের কলকাতার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম ছিল। স্থলবন্দর চালু হলে এতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, মোগলহাট স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুনরায় চালু করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ চলছে। এ স্থলবন্দরে অনেক অবকাঠামো রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ধরলা নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি সংস্কার অথবা নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে। বন্দরটি চালু করতে আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh