মরিচের ফলন ও দামে খুশি চাষিরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৬ এএম

রবিশস্যের চাষাবাদ করেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন এখানকার অধিকাংশ কৃষক। ছবি: সংগৃহীত

রবিশস্যের চাষাবাদ করেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন এখানকার অধিকাংশ কৃষক। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মরিচের অধিক ফলন হয়েছে। বাড়তি ফলন ও দাম পেয়ে খুশি মরিচ চাষিরা। সরেজমিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা, গোরকমণ্ডপ, চর গোরকমণ্ডপ, বালাটারী, গজেরকুটিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শুধু মরিচই নয়, এ ধরনের রবিশস্যের চাষাবাদ করেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন এখানকার অধিকাংশ কৃষক।

চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলনসহ মরিচের ভালো দাম থাকায় চাষিরা মরিচ ক্ষেতে পরিচর্যা কাজ ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউ ক্ষেতের মরিচ তুলছেন, অনেকেই আবার মরিচ বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। চাষিরা জানান, স্থানীয় পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৩০০০-৩৫০০ টাকা দরে মরিচ কিনে নিচ্ছেন। মরিচ চাষি আনিছুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমির মরিচ ক্ষেতেই ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আগাম মরিচ বিক্রি করায় এক বিঘা জমিতে খরচ মিটিয়ে ৩৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে।

স্থানীয় পাইকার দুলাল মণ্ডল ও চঞ্চল চন্দ্র জানান, তারা দুজনে মিলে এ বছর কৃষকদের কাছ থেকে ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা মণে মরিচ কিনে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, বড়বাড়ী গিয়ে ৩৭০০ থেকে ৩৯০০ টাকা বিক্রি করছেন। মরিচের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কৃষকদের পাশাপাশি তারাও লাভের মুখ দেখছেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চলতি মৌসুমে জেলার নয়টি উপজেলায় ১ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh