ড. ইউনূস তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছেন: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: ফাইল

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: ফাইল

ড. ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে ‘বিশ্বনেতাদের বিবৃতি’কে ‘বিজ্ঞাপন’ অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তার (ড. ইউনূস) পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি, বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো-এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছেন।

আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ‘অন্যায় আচরণের শিকার’- এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন বিশ্বের ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তি। যা গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।

ড. ইউনূসকে নিয়ে ‘বিশ্বনেতাদের বিবৃতি’র খবর প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।

উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের মালিক ও গ্রামীণ ফোনের প্রায় ৩৪ শতাংশের মালিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে বিশ্বের ৪০ জন খ্যাতনামা ব্যক্তির নাম গত ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো এক পাতার বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়।

এ বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কিনা জানিনা। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। 

তিনি বলেন, যেভাবেই হোক ইউনুস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো-এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে। আমার প্রশ্ন-তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?

ড. হাছান বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা কথা বলে, সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে বলে— ‘আমাদের কথা বলার অধিকার নাই।’ সেটি যে অসার মিথ্যা, তা ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহতভাবে সুসংহত রয়েছে। এটি আরও হতো যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করতো।

বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নাই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন,তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে, সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারে না। এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার এক কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করতো, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্র চর্চায় আরও  সহায়ক ভূমিকা রাখতো, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।

বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকারের রশি ধরে টান দেওয়ার সময় এসেছে’  এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা তো রশি ধরে টান দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। সরকারকে রশি ধরে টান দিতে গিয়ে সেই রশি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে তাদেরই কোমরটা ভেঙে গেছে। এখন আবার টান দিতে গেলে তাদের কোমর আরও ভেঙে যাবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, এটা মনে রাখতে হবে— সরকারের ভিত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত। এই রশি টানাটানি ১৪ বছর ধরে তারা করেছে, এতে তাদের কোনও লাভ হয়নি বরং নিজেরাই বারবার রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh