পাহাড়খেকোদের পরিবেশমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম

বন বিভাগের অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

বন বিভাগের অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়খেকোদের হুঁশিয়ার করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন।

তিনি বলেছেন, ‘পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। যারা পাহাড় ও টিলা কাটছে তারা দেশের ও নিজেদের ক্ষতি করছে। পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষার জন্য যেকোনো মূল্যে পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে, না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ আমরা ধ্বংস করে দেব।’

আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটিতে ১২ কোটি টাকার ব্যয়ে বন বিভাগের ৬তলা বিশিষ্ট অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘পার্বত্যবাসী ও দেশের স্বার্থে শতকরা ২৫ ভাগ বনায়ন দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামে বনায়ন অনেকটা কমে গেছে। শুধু বনায়ন ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে যারা ফলের বাগান করতে চান তাদের সহায়তা করা হবে। যেকোনো প্রকারে আমরা চাই পার্বত্য চট্টগ্রামে বনায়ন হোক। সেই বনায়নের ঘাটতি মোকাবেলা করার জন্য যেভাবে হোক বন বিভাগ অথবা ব্যক্তিগতভাবে হোক কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা আদিবাসী রয়েছেন তারা বনায়ন করুক আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।’

এসময় বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃঞ্চ দাশ. রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের রাঙ্গামাটির সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ.কিউ.এম মোহাম্মদ শাহজালাল মজুমদার, গণপূর্ত বিভাগের রাঙ্গামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশলস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে নির্মিত সোলার ফেন্সিং সিস্টেম উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি বুনো হাতির আক্রমণে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি পরিবারের সদস্যদের কাছে ৬ লাখ ২০ টাকার চেক তুলে দেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh