সীতাকুণ্ডে আগুন

একদিন ধরে জ্বলছে তুলার গুদাম

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৬ এএম | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪০ এএম

আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসসহ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসসহ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

একদিন পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইউনিটেক্স গ্রুপের তুলার গুদামে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। 

আজ রবিবার (১২ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগুন নেভাতে কাজ করছে মোট ১৮টি ইউনিট। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আটটি, সেনাবাহিনীর চারটি, নৌবাহিনীর চারটি ও বিমান বাহিনীর ইউনিট চারটি। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আগুন জ্বললেও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে গতকাল শনিবার (১১ মার্চ) শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগে ওই গুদামে। শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও পাঁচ ইউনিট। তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেছে রাত সাড়ে ৮টার দিকে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে এখন ১৮টি ইউনিট কাজ করছে। বিজিবির চারটি ফায়ার ফাইটিং ইউনিটও আসছে আগুন নেভাতে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম ইউএসএআর (ইউনিট সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম) ঘটনাস্থলে যোগ দেবে। এই টিম সম্প্রতি তুরস্কে ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে।

এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, আগুনের ভয়াবহতা দেখে আমরা সামরিক বাহিনীর সাহায্য চেয়েছি। সশস্ত্র বাহিনীর ১০টি ইউনিট ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আগুন নেভাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী জানান, এই গুদামে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওয়েল্ডিয়ের কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে কাজের সময় সৃষ্ট স্ফূলিঙ্গ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।

দীর্ঘ সময়েও আগুন নেভাতে না পারার পেছনে পানিসংকটের কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ মিয়া। তিনি বলেন, প্রথমত পানির সংকট রয়েছে। তাছাড়া এটি তুলার আগুন। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে এমনিতেই দেরি হয়। এর সঙ্গে পানির জোগান পেতে সমস্যা হওয়ার বিষয়টি যোগ হয়েছে। আশপাশে খুব বেশি জলাশয় নেই। যা ছিল শুকিয়ে গেছে। আমরা এখন পাশের ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর রিজার্ভার থেকে পানি সংগ্রহ করছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh