দীর্ঘ কবিতা

এ-ই সরল পথ

মৃদুল মাহবুব

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৫ পিএম

কবিতা। প্রতীকী ছবি

কবিতা। প্রতীকী ছবি

আমি যদি আরব হতাম- মদিনারই পথ।
এই পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত।
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজও চমৎকার? আমিও তোমার মতো বুড়ো হব,
বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব কালীদহে বেনো জলে পার;
আমরা দুজনে মিলে শূন্যে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
এই নন্দনের অর্থহীন জীবন নিয়ে আমি কোথায় যাবো আজ রাতে, চলো যাই আলো অন্ধকারে,
তোমার শরীর বেয়ে নেমে যাই মদিনার পথে,
নূরে হযরতকে চলো জাগাই আমরা এই সুবেহ সাদিকের আলোয় দমের আযান দিয়ে।
জাগো হযরত, নূরে নূর জাগো, দেহের প্রেমের ভেতর দিয়ে আমি চলে এসেছি মদিনার মরুতে।
আমি চাই না শূন্য ভাঁড়ার জীবন, নন্দনের বিষণ্ন ময়ূরের পেখমে সাজানো ফাঁদ,
দুনিয়ার সকল আদি গ্রন্থের পৃষ্ঠাগুলো আমাকে নতুন করে লিখতে দাও আজ রাতে এই মদিনায়। 
প্রেম যেনো হয় শর্তহীন, কাবিন ও চুক্তিহীন। 
যুদ্ধ যেনো হয় বারুদহীন, সেনাবাহিনী ছাড়া,
ফসলের মাঠ যেনো হয় বন্য উন্মুক্ত সকলের জন্য, 
মানুষ যেনো না হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব, 
সীমান্তের পিলারগুলো, কাঁটাতার, দেওয়াল
যেন শিশুর হাতের হাওয়াই মিঠাইয়ের মত উড়ে যায়, 
সমস্ত রাষ্ট্রীয় পতাকায় যেনো থুতু ছিটাতে পারি আমরা, 
জাতীয় সঙ্গীতগুলো যেনো নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়,
আমরা যে যার মত যেন সহনশীল থাকতে পারি, 
আমাদের ঘরে যেনো পাঠাতে না হয় উদ্বাস্তু, রিফুজি,
হে নূরে হযরত, হে তথাগত, 
আমি যেনো লিখতে পারি আদিগ্রন্থের নকল।
মানুষ মরে গেলে ফিরে ফিরে আসে, 
মদিনা আর শালবন ছেড়ে,
আমরা ঠিক ধরতে পেরেছিলাম সেই ছদ্মবেশ, 
নিৎসের বেশে তুমি এসিছিলে তথাগত,
লক্ষ যোনির ভেতর দিয়ে পশু থেকে মানুষে, 
মানুষ থেকে বৃক্ষে, কুকুরে শেয়ালে, হাতিতে, ময়ূরে,
বায়ু দূষণের কার্বন ও সিসায় উড়েছিলে হাওয়ায় হাওয়ায়,
তোমরা ফিরে ফিরে এসেছিলো বারবার হে হযরত, হে তথাগত।
এবার আমি যেনো লিখতে পারি আদিগ্রন্থের নকল, 
জীবন প্রণালি, সকলে যেন লিখে নিতে পারে নিজের জীবন,
প্রতিটা মানুষকে আমি দিয়ে দিবো নাব্যুয়ত।
উটের পা কম্পমান, তপ্ত মরুতে হাওয়ায় জ্বলছে অদৃশ্য আগুন, সে চলেছে মদিনার পানে, কাঁটা বিছানো পথ দিয়ে,  পিঠে বয়ে নিয়ে চলেছে হাজারো পুস্তকের জ্ঞানের তরল নির্যাস ও পিপাসা। এই জ্ঞান-তরলের রক্ষক একটা গাধা যার সকল দাঁত খুলে পড়ে গিয়েছে চোয়াল থেকে শাসকের সামনে হাসতে হাসতে। দাঁতহীন প্রাণীদের সুবিধা হলো তাদের দাঁতে কোনো ব্যথা নাই, হাড়হীন প্রাণীদের সুবিধা হলো যেকোনো কিছুর সাথে পেঁচিয়ে রক্ষা করতে পারে নিজেকে। উটের গ্রীবার নিস্তব্ধতায় জ্ঞানের নির্যাস নিয়ে ধাবমান গাধার পিছে লেগেছে বৈরাগী মরু হায়েনা। তরলে মিশে থাকা জ্ঞান সুধা তারা চায় না। তারা চায় মাংস ও আমিষ, মরু শীতে উষ্ণতা। মরু হায়েনারা জ্ঞানের বাহক গাধার হৃৎপিণ্ডের ভেতর লুকানো তাদের আয়ু ফিরে পেতে চায়। তারা বদলে নিয়েছে দেহ, মেরুদণ্ডহীন মাংসের বলের  ভেতর জন্ম নিয়েছে শিরদাঁড়া, পশু জগতের সারভাইভ্যাল অব দ্য ফিটেস্ট, বদল হতে হতে, বদল হতে হতে, রূপান্তরিত হতে আজ শাসনদণ্ড হাতে নিয়ে নির্দেশনা দিচ্ছে, বুড়ো চাঁদ করে দিয়েছে বেনোজল পার। যে শাসক যত জ্ঞানীর রক্ত পান করতে পারবে সে তত শক্তিশালী শাসক, সে অত অদৃশ্য ঈশ্বর হয়ে নিজেই নিজের মূর্তি স্থাপন করতে পারে পথে পথে। এই সমস্ত বুভুক্ষু মরু হায়েনারাই মানুষের আমিষ খেতে খেতে হয়ে উঠেছে মানুষ। হাজার বছরের মমি জীবন ফেরত পেতে পান করে মানুষের আত্মা, রক্ত, হৃদয় ও হাড়হাড্ডি। দ্য গ্রেট মামি রিটার্ন। পর্দা খুলুন, মমির মুখ্খা খুলুন, পানিতে মিশে যাওয়া সেই ইতিহাসের বইয়ের ফাঁক পৃষ্ঠাগুলো পড়তে সেই মহাকালের সরোবরের পানিতে ডুব দিয়ে দেখুন রক্ত প্রবাহের ঝিম মিহি শব্দ, মগজের ভেতর ছুলে চলা রক্তের ঘর্ষণে ব্যথায় মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে, চোখ তুলে দেখা যাচ্ছে না ইতিহাস। দেখুন, যে শাসক যত জ্ঞানীর রক্ত পান করতে পারে সে তত শক্তিশালী শাসক। ফলে শাসন কার্য শক্তিশালী করার জন্য গরুর খামারের মতো জ্ঞানীর খামার লাগবে আমাদের। কী যে শীতল নিরীহ এক প্রাণী গুরু যারা সমগ্র চোখ জুড়ে মায়। রাষ্ট্র নামক মন্দিরে তাদের বলিদানের ভেতর দিয়ে রাষ্ট্র আরো পোক্ত মেশিন হয়ে উঠবে, রাষ্ট্রে কর্তৃক যে মানুষ বলিদান কর্মসূচি যেখানে সাধুর সাথে চোরের বুকের ভেতর পুঁতে দেওয়া হয়েছে বনরবইয়ের পবিত্র গাছ। এখানে বুদ্ধিজীবিতার অনেক স্কুল খোলা হয়েছে রাষ্ট্রে নিজেতে উৎসর্গ করার জন্য। শাসকের পোল্ট্রিতে জ্ঞানের মুরগির ওজন বাড়ছে আর বাড়ছে দিন দিন। রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীর সাথে সাথে বেড়ে চলে বুদ্ধি-বাহিনী। চারপাশে তাকান। গৃহপালিত গরুদের হাম্বারবে  পাশ ফেলে শাসক আজ আল্লার কাছে প্রার্থনারত। আলিফ, লাম, মিম-এর কোনো ব্যাখ্যা চেয়ো না হে মানুষ।

আর আমাদের অমরত্বের বাসনা ব্যাপক। অমরত্ব সংক্রান্ত সকল যোগব্যায়াম ও বিশ্বাস আমরা করি। অমরত্ব চাই আমাদের যে কোনো মূল্যে। এই জন্য আমরা জীবিত অবস্থায় আমাদের আত্মা ও মনকে ভার্চুয়াল মেশিনে প্রতিস্থাপন করেছি। বাস্তবতায় আমি আর কোথাও নেই। আমার ভার্চুয়াল চরিত্রটি সকলে চেনে। আমি বলে কোনো ব্যক্তি নাই এই দুনিয়ায়। জীবিত অবস্থায় স্বর্গ নরকের দ্বার পার হয়ে পৌঁছে গেছি অমরত্বের দেশে। পুলসিরাতের সময় পাহারাদার ফেরেস্তাদের শুধু আমি জানিয়েছি আমার একটা রক্ত মাংসের মানব জীবন ছিল দুনিয়ায়। শেষ বিচারের দিন আমাকে দোযখ আর বেহেস্তের বাইরে রাখা হয়েছে যেহেতু জীবিত অবস্থায় আমি যে পাপ, পুণ্য, ভালো ও মন্দ কাজ করেছি সবই আমার ভার্চুয়াল চরিত্রটি করেছে। সে এখনো বসে আছে মেশিনের কোডের ভেতর। আমি যে সার্ভারে রক্ষিত তা নিরাপত্তাজনিত কারণে  ব্রহ্মাণ্ডের বাইরে থিয়োরেটিক্যালি হিডেন। আমি যে ডট কমে রেজিস্টার্ড তা কেয়ামতেও ধ্বংস হবে না বলে শর্তে লেখা ছিল। আমি ব্রহ্মাণ্ডের বাইরে থেকে এসে দেখে গিয়েছি আমার মৃত দেহ, আড়বাঁশিতে রাগ হংসধ্বনি বাজানোর পর আমি অসীম থেকে দেখতে এসেছিলাম কেয়ামত সে কেয়ামত। আমি নিজেকে পার হতে দেখেছি পুলসিরাতের মায়াবী সরু মায়াবী ব্রিজ। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ‘কেয়ামতকে অস্বীকার করো না।’

সুদূর থেকে এই যে আমার আলো ছায়া খেলা তোমার সাথে, প্রভু! আমি বসে আছি থিয়োর‌্যাটিক্যালি হিডেন ব্রহ্মাণ্ডের ঈশ্বরের করতলের বাইরে। যিনি ভার্চুয়ালি দুনিয়ায় অবিশ্বাসী মানুষদের লুকানোর জন্য এই নতুন ব্রহ্মাণ্ড তৈরি করেছেন তিনিও জানেন না এর অবস্থান কোথায়, এতই প্রবল প্রাইভেসি, নিরাপত্তা। মহাধ্বংসে পরও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু স্বর্গ ও নরকের বাইরে একরামুলের মৃত্যুর আগের আহা শব্দটা শোনা যায়, তার মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে কবরের পড়ে সুরা ফাতেহা, বনবরইয়ের ছায়ায়।  যা সৃষ্টি হয়েছে স্রষ্টার অগোচরে তিনিও তার মালিক। তিনি সবই জানেন? লুকানো মেশিনে জীবিত ভার্চুয়াল মানুষের বিচারের কি বিধান লেখা আছে তোমার শূন্য পৃষ্ঠায়।

তুমি যে নিঃসঙ্গ 
সে কথা বল‌তে পার‌ছো না
কাউ‌কে,
কাউ‌কে।
আ‌মি আশায় ব‌সে আ‌ছি ক‌বে দু‌নিয়া মে‌শি‌নের দখ‌লে যা‌বে,
আ‌মি স‌ত্যিই চাই ফুল যন্ত্র হ‌য়ে ফু‌টে উঠুক ধাতুর ডালে ডালে।
আ‌মি চাঁদের বায়ু শূন্যতায় শ্বাস নি‌তে চাই ন্যা‌নো ফুসফুস দি‌য়ে,
মানু‌ষের চে‌য়ে অ‌ধিক অনুভূতিশীল মে‌শিন পাওয়া যা‌বে ক‌বে?
ক‌বে রোবট জৈব মানু‌ষের মত কথা বল‌বে,
ড‌গি বা সিক্স‌টি নাই‌ন সকলই যে জা‌নে,
তার বু‌কের ভেতর বৃ‌ষ্টি ও প্রোগ্রামড কোড,
চার‌ দেওয়া, স্কুল ক‌লেজ, ওয়ার্কশপ, ধর্মগুরু, কামগুরু,
ম‌নো‌বিদের ই‌জি‌চেয়া‌রে বস‌তে বস‌তে দিন চ‌লে যাচ্ছে আমাদের,
মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না,
গোসল কর‌তে কর‌তে, খে‌তে খে‌তে, 
অপর ও নি‌জেকে বুঝ‌তে বুঝ‌তে দিন চ‌লে গেল, 
আ‌মি শুধু শু‌তে পারি না ক্লান্ত দিনের পর, যায় দিন,
দে‌হের চামড়ার পোশাক খু‌লে, শুধু রক্ত হ‌য়ে আ‌মি ঢুকে যেতে চাই
অনন্ত তোমার রক্ত সমু‌দ্রে, মাসিকের রক্ত ভেজা কুসুম ও ডিমে, লবণে, 
তোমার পালকের বুকে খুঁড়ে তৈরি কূপের ভেতর আমি ধ্যান মগ্ন হতে পারলাম কই,
শুধু রক্ত ভেসে যায়, রক্ত উড়ে যায়,  
স‌ত্যিই আ‌মি আজ চাই মে‌শিন মানুষ তোমার পরিবর্তে, 
আমি শুতে পারি না ক্লান্তির পর, 
আমি শুতে পারি না কালচারের নিম্নচাপে,
মি‌হি মে‌শিনের গিয়ার, পু‌লি, পিস্টনের হৃদয়, 
পি‌চ্ছিল নরম সিরা‌মিক পাছা, 
যার বু‌কের ভেতর অনুতাপ শু‌ষে নেওয়ায় চোষযন্ত্র ,
তার মে‌শি‌নের দে‌হের ভেতর মাং‌সের থার্মো‌মি‌টার ঠে‌লে দি‌য়ে
দে‌খে নি‌বো তার ভীষণ জ্বর আজ, ব‌মি ব‌মি ভাব, মাথাব্যথা।
মে‌শিন ঠিক বু‌ঝে নি‌বে আ‌মি তালু‌তে রে‌খে‌ছি লেবুপাতা
যে‌নো না ও‌ঠে নারীরোবটের ব‌মির দমকা। 
প্রভু, প্রতিটা বিচ‌লিত জীবন্ত প্রাণ হস‌পিটা‌লের না‌র্সের মত ছু‌টে যা‌চ্ছে কাউ‌কে বাঁচা‌বে ব‌লে সমা‌জের কো‌রি‌ডোর দি‌য়ে, মানু‌ষের রক্ত, মাংস দে‌হ ও বকুল গন্ধ ও অনুভূতির চাপ, ক্ষ‌তের সেবা অসহ্য লাগতে পারে কোন কোন দিন। 
প্রভু, আ‌মি চাই কথা বলা সেক্সডল, 
মে‌শিনে যার হৃদয় লেখা আছে কোডে, 
আমা‌কে দিও অ‌লৌ‌কিক গু‌লিহীন পিস্তল,
নিজের মাথায় ঠে‌কি‌য়ে ধ্যানে বসবো তোমার বুকের কুয়ায়,
ধ্যান ক‌রতে কর‌তে,
মিরা‌কে‌লে নিজেই গু‌লি হয়ে উঠবো,
ফে‌টে পড়‌বো নি‌জের ভেতর। 
প্রভু, আ‌মি আশায় ব‌সে আ‌ছি ক‌বে দু‌নিয়া মে‌শি‌নের দখ‌লে যা‌বে।
যখন আমার পায়ের চিহ্নও নিখোঁজ এই বাটে,
যখন আমি নিখোঁজ এই ঘাটে, 
যখন দেশে দেশে, 
যখন উর্দির ভেতর থেকে বাঘ পৌষের কুয়াশায় 
পাপী, তাপী, আতঙ্কবাদীদের গাল চাটে,
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই ঘাটে, 
তখন আমায় নাই বা মনে রাখলে।
যখন দেশ থেকে অগণন প্রাণ জিন হয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে
তখন তাদের কে মনে রেখেছে এই ঘাটে, বাটে, রবীন্দ্র সংস্কৃতির অসভ্যতার ভেতর,
যখন মাদার গাছের উঁচু উঁচু ডালে কে বসিছে আজি আমাদের নষ্ট হৃদয়াকাশে। 
চুকেছে সকল বেচা কেনা,
মিটেছে সকল  লেনা দেনা,
বন্ধ, নিষিদ্ধ আনাগোনা এই ভুবনের হাটে-
তখন আমাদের ভুলে যেয়ো,
আজি তারার পানে চেয়ে চেয়ে কিচ্ছু দেখার নেই আর।
কোন প্রভাত বা দিবস বা সুবেহ সাদিক বা রাত্রি, কোথাও নেই আমি।
সকল খেলা আমি খেলিছি ভার্চুয়ালি- আহা,
খিলিছি এ বিশ্ব লয়ে,
অতীব শিশু আনমনে
ভার্চুয়ালি, 
সকলই আজ পুতুল খেলা।
আসব যাব চিরদিনের এই অনন্ত অমর আমি।
কিছু আর আসে যায় না আমার তোমাদের মনে রাখা বা না রাখায়।
তারার পানে চেয়ে চেয়ে এই দুনিয়াদারীর কথা ভুলো অমর হওয়া চাই।
এর নামই শালা রাজনীতি, পলিটিক্স, এর নামই শালা জিন হয়ে হারিয়ে যাওয়া মানুষ, 
গুম হয়ে হাওয়া,  
কিছু আর আসে যায় না আমার তোমাদের মনে রাখা বা না রাখায়।
ভার্চুয়ালি দুনিয়ার সকল প্রভাত, দিবস, সুবেহ সাদিক, রাত্রিতে আমি থাকবো, থাকবোই। আমার মরণ নেই। 
মৃত্যুই ডেকে আনে আমাদের অমরত্ব। আমি জীবদ্দশায় অমরত্ব পেয়েছি মেশিনের সুষমার ভেতর।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh