ভারত থেকে ডিজেল আমদানি

ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের উদ্বোধন ১৮ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০১:২০ পিএম | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০১:২০ পিএম

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রথম তেল পাইপলাইনের উদ্বোধন হবে ১৮ মার্চ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

এই পাইপলাইনের নাম ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন।  ২০১৮ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর অফিস এই প্রকল্পের নজরদারি করেছে।

আসামের নুমালিগড় পরিশোধনাগার থেকে ডিজেল এই পাইপলাইন দিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে বাংলাদেশে যাবে। বংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় পার্বতীপুর অয়েল ডিপোয় ডিজেল পৌঁছাবে। বংলাদেশ পেট্রোলিয়াম  কর্পোরেশন (বিপিসি) এই ডিজেল বিক্রি করবে।

এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ৩৮৮ কোটি আট লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারত সরকার দিয়েছে ২৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড দিয়েছে ৯১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

ভারতে শিলিগুড়ি থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে আছে এই পাইপলাইন। বাকি ১২৫ কিলোমিটার পইলাইন আছে বাংলাদেশে। এই পাইপলাইনের মধ্যে দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল বাংলাদেশে পাঠানো যাবে।

পরিশোধিত তেল কেনার জন্য বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে। ২০২০ সালে বংলাদেশ ২৬৪ কোটি ডলার খরচ করেছিল। তারা ছিল পরিশোধিত তেল আমদানির তালিকায়  বিশ্বের ৪২তম দেশ। ওই বছর সিঙ্গাপুর, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত তেল কিনেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আরো যৌথ উদ্য়োগ রয়েছে। তার মধ্য়ে অন্যতম হলো আখাউড়া-আগরতলা রেল যোগাযোগ এবং বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজে ড্রেজিং করার কাজ। এছাড়া এনপিএল ও বিপিসি ২০১৭ সালে হাই স্পিড ডিজেল নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করেছে। ডিজেল নিয়েও একই ধরনের চুক্তি হয়েছেদুই সংস্থার মধ্যে। এছাড়া ইন্ডিয়ান অয়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের রাস্তা ও সড়ক দপ্তরের চুক্তি হয়েছে তেল নিয়ে যাওয়া নিয়ে। ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে এই তেল যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh