চার লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০২:৫২ পিএম

আব্দুল হাকিম। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি

আব্দুল হাকিম। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সিএনজি চালক আব্দুল হাকিমকে (৩৫) জবাই করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গত শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে এক প্রেস কনফারেন্সে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মো. মমিন উল্যার ছেলে মো. মহিন (২৭), পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো.কামাল ওরফে কামাল ডাকাত (৩৮), আনোয়ারুল হক নশুর ছেলে মো.আজাদ হোসেন (৩২), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে রিপু মিয়া (২১), আক্কাস সওদাগরের ছেলে জাহিদ হাসান (২৮), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মো.সেলিমের ছেলে সোহেল হোসেন ওরফে শাকিল (২৪), একই গ্রামের মকবুল আহমেদের ছেলে মমিন উল্যাহ (৩৭),  অজি উল্যার ছেলে নূর আলম মিস্ত্রি (৫৫)।  

 প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার জানায়, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সাথে নিহত সিএনজি চালক আব্দুল হাকিমের পূর্ব শক্রতা ছিল। পূর্ব শক্রতার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থের লোভ দেখিয়ে আব্দুল হাকিমের সিএনজির মালিক মহিমকে ব্যবহার করা হয়। ঘটনার দিন রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব পরিকল্পনা হিসেবে মহিম তার বাড়িতে কামাল, রিপু, মোমেন, নূর আলমসহ আরো কয়েকজনকে (তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না) নিয়ে অবস্থান করেন। মহিম আব্দুল হাকিমকে সিএনজি রাখার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেয়।

তিনি জানান, এরপর হাকিম মহিমকে সিএনজি জমা দেওয়ার সময় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী অজ্ঞাত নামা আরো ৪-৫জন মিলে আকস্মিক ভিকটিমের মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে সকল আসামিরা ভিকটিমকে উপজেলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজার এলাকায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে জবাই করেন। রিপু ও অপর একজন (নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না) লাশ গোপন করার জন্য শাবল, কোদাল ও বস্তা নিয়ে যান। একপর্যায়ে সকল আসামিরা মিলে মৃত্যু নিশ্চিতের পর ভিকটিমের লাশ বস্তার ভিতর ঢুকিয়ে মাটি চাপা দেন।

পুলিশ সুপার আরও জানায়, তদন্তকালে আসামি সোহেলের ভাষ্যমতে রিপুর বাড়ি থেকে শাবল ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। মামলার মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকাণ্ড সংগঠনের জন্য আসামি মহিনের সাথে ৪লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন।  

এছাড়া তিনি জানান, রিপু ও সোহেল ওরফে শাকিল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। গত শনিবার ও গতকাল রবিবার বিকেলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh