নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৭:২২ পিএম
সোলার প্যানেল। ছবি: সংগৃহীত
আগামী ১ বছরের মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ২ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্রুত কিছু পাইলট প্রকল্প হাতে নিতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আমাদের সৌর উৎস থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ পেতেই হবে, বলেছেন তিনি।
বাংলাদেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াটেরও কম।
এর আগে নেট মিটারিং পদ্ধতিতে ব্যক্তি উদ্যোগে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক দশক পার হলেও সেই প্রকল্প ভালো ফল না দেওয়ায় নতুন এই প্রকল্প নিয়ে ভাবা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার এক কর্মশালায় জানান প্রতিমন্ত্রী।
পাওয়ার সেল আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য জমির বহুমুখী ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রকৌশলীদের নির্লিপ্ততার কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
নসরুল বলেন, “আমরা তাদের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করি। আমাদের প্রকৌশলীদের বোমা মারলেও এ ধরনের একটি প্রকল্পের আইডিয়া বের হচ্ছে না।
তিনি বলেন, যেগুলো হয়নি সেগুলো নিয়ে বেশি মাথা খাটাতে চাই না। হয়নি, কিন্তু এবার হবে। টেকনোলজি চেইঞ্জ হচ্ছে। এখন আগের চেয়ে কম জায়গা লাগে। সৌর প্যানেলের দাম কমেছে। এই বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াটের সোলার গ্রিডে দিতে পারি কি না, এটাই হচ্ছে আমার কাছে বড় বিষয়।
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য জমির বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে ভারতের স্টেজ এনার্জি সার্ভিস ও বাংলাদেশের টেকনোবিন এনার্জি সার্ভিস সম্প্রতি একটি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষে করে।
কৃষিভিত্তিক নবায়ণযোগ্য জ্বালানির বিজনেস মডেল তৈরি করা এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। দেশে-বিদেশে কৃষিভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েও অনুষ্ঠানে পর্যালোচনা করা হয়।
কৃষি জমিতে উৎপাদন অব্যাহত রেখে কীভাবে কাজগুলো শুরু করা যায়, সেই উদ্ভাবনে হাত দেওয়ার উপর জোর দেন প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া ভাসমান সোলার বা জমির বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।
শহরের মধ্যেও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দেন নসরুল।
সম্প্রতি বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠেকাতে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নির্ভরতা বাড়ানোর দাবি উঠছে দুনিয়াজুড়ে।