সঞ্জয় সরকার
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৮ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১১:০৯ এএম
পেটারি। ছবি: সঞ্জয় সরকার
সকালের আলোতে ও গোধূলির সময় হালকা আলোতে এই ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুলের রং হলুদ। পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট। ফল রোমাবৃত, চক্রাকৃতির। ডিজেল ইঞ্জিনের খাঁজকাটা পেনিয়ামের মতো। ফলের ভেতরে কালো বীজ থাকে
পেটারি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। উচ্চতা ৭-৮ ফুট হলেও গড় উচ্চতা ৪ ফুট। সাধারণত ঝোপঝাড়ে আগাছা হিসেবে জন্মাতে দেখা যায়। প্রায় পুরো গাছই দেখতে সবুজ। কাণ্ডের রং কিছুটা বাদামি। শক্ত কিন্তু ভঙ্গুর কাণ্ড মখমলের মতো আবরণে আবৃত। পাতা ডিম্বাকৃতির বা হৃৎপিণ্ডাকৃতির হয়ে থাকে। কিনারা খাঁজকাটা ও অগ্রভাগ সরু।
সকালের আলোতে ও গোধূলির সময় হালকা আলোতে এই ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুলের রং হলুদ। পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট। ফল রোমাবৃত, চক্রাকৃতির। ডিজেল ইঞ্জিনের খাঁজকাটা পেনিয়ামের মতো। ফলের ভেতরে কালো বীজ থাকে। সারাবছরই কমবেশি ফুল ও ফল দেখা যায়। তবে ফাল্গুনে অধিক দেখা যায়। পাঁচটি পাপড়ির মাঝখানে চেয়ে হালকা আলো এই ফুল ফোটার জন্য উপযুক্ত। পেটারির উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Abutilor Indicum. ফুলে প্রায়ই কীটপতঙ্গ বসে বলে সহজেই বোঝা যায় এই ফুলে মিষ্ট স্বাদের মধু আছে। পেটারি ফল দেখতে ফুলের থেকে কম সুন্দর নয়। ফল বাতাস দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। গোলাকার ফলে চাপ দিলে ফস করে বাতাস বেরিয়ে যায়। কাঁচা অবস্থায় ফল সবুজ, পরিপক্ব হলে কালো রং ধারণ করে। পেটারি কফ নিবারক, ক্ষত সারাতে কার্যকরী, ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে।