বিসিএস নিয়ে নতুন পরিকল্পনা, পরিবর্তন আসছে নন-ক্যাডার নিয়োগে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:৪৭ পিএম

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

বড়সড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার নিয়োগে। এ পদে নিয়োগের জন্য আগে আসলে আগে পাবে এ নীতি থেকে সরে এসে পদ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। 

আবেদনের সময় প্রার্থীরা পদ নির্বাচন করতে পারবেন। মেধাতালিকা অনুযায়ী নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে চলমান ৪১তম থেকে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে ওয়েভার (ছাড়) দেওয়া হবে। 

শিগগির নন-ক্যাডার নিয়োগের বিধিমালা প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পিএসসি। 

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যাও উল্লেখ থাকবে। চলমান ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে কোন বিসিএসের সময় কোন শূন্যপদের চাহিদা এসেছে, তা পর্যালোচনা করে মেধারভিত্তিতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।

শুধু তাই নয়, আগে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করার পর নন-ক্যাডারে পাস করা প্রার্থীদের মধ্যে আগে আসলে শূন্য থাকা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য পচ্ছন্দ করতে পারতো। এতে মেধা তালিকায় এগিয়ে থাকলেও পরে আসার কারণে চয়েজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো। বর্তমানে এমন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিধিমালা সংশোধনে একটি খসড়া তৈরি করে গত জানুয়ারি মাসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে পিএসসি। চলতি মাসে সেটি প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, নন-ক্যাডার নিয়োগে আগের চাইতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ক্যাডারের মতো নন-ক্যাডার পদে আবেদনের সময় চয়েজ দিতে হবে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা অনুযায়ী তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।

তিনি বলেন, ৪৫ থেকে নন-ক্যাডার পদ সংখ্যা উল্লেখ করে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। তবে ৪১ থেকে ৪৪ নন-ক্যাডারে পদ সংখ্যা উল্লেখ করে নিয়োগ দিতে ওয়েভার দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে এসব বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলের পর যে সব নন-ক্যাডারের পদ পাওয়া যাবে সেসব পদে ওয়েভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।

এদিকে, বিসিএসের সময় কমিয়ে আনতে বছরের শুরুর প্রথম দিনে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির চিন্তা করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বছরের শুরুতে বিজ্ঞপ্তি দিলে ওই বছরের শেষ দিনের মধ্যে যাতে ওই বিসিএস শেষ করা যায়, সেই পরিকল্পনা করছে পিএসসি।

পিএসসি সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে এক বছরে একটি বিসিএস শেষ করার পরিকল্পনা হলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। বর্তমানে চার বিসিএসের কার্যক্রম চলছে। তাই এরপর নতুন যে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আসবে তার আগে এই বিসিএস যাতে এক বছরে শেষ করা যায়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে পিএসসি। পরিকল্পনা অনুসারে বছরের প্রথম দিনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। এক বছরে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা শেষ করা হবে ও বছর শেষ দিনের মধ্যেই ওই বিসিএস শেষ করা হবে।

বর্তমানে প্রতিবছরের নভেম্বরের শেষ দিনে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসছে পিএসসি। এক বছরের মধ্যে বিসিএস শেষ করতে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা পিএসসির। তবে এটি করতে গিয়ে যাতে প্রার্থীদের বয়স–সংক্রান্ত জটিলতা না হয়, সে চেষ্টাও করবে বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh