সুস্থ থাকুক: মন-প্রাণ-দেহ

রুবানা শারমীন লুপা

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৪ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সুস্থতা বজায় রাখতে সব সময় নিজের আবেগ-অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিকেই শান্ত-ধীর-স্থির হয়ে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করা যায়-

১. প্রতিদিন সকালে না হলেও বিকেলে অবশ্যই কিছু খালি হাতে ব্যায়াম করুন। সেই সঙ্গে মেডিটেশন করতে পারেন, অন্তত ১০ মিনিট। প্রতিদিন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। 

২. প্রতিদিন ন্যূনতম ৩০ মিনিট রোদে হাঁটুন। হাঁটার সময় এদিক-ওদিক ফোকাস না করে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে নজর দিন। 

৩. ধূমপান, মদ্যপান বন্ধ করুন। রেডমিট পরিমিত খাবেন। ফাস্ট ফুড পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন। এর বিপরীতে তাজা ফল ও সবজি, সালাদ খেতে হবে। চিনি এড়িয়ে চলবেন।

৪. অসুস্থবোধ করলেই ওষুধ খাবেন না। অ্যান্টিবায়োটিক-অ্যান্টিভাইরাস অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। এসব ওষুধের ডোজ পুরোপুরি শেষ করতে হবে। 

৫. চুল-ত্বকের যত্নে খুব বেশি কেমিক্যাল জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। কেমিক্যালের বিপরীতে ভেষজ রং, ভেষজ উপকরণ ও তেল দিয়ে চুল-ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। 

৬. বক্সিং বা মারামারি জাতীয় খেলাধুলা ও সিনেমা যা উত্তেজিত করে তোলে সেগুলো দেখা থেকে বিরত থাকুন। একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ নাটক দেখা থেকেও বিরত থাকুন। 

৭. কাজ ছাড়া অযথা শপিংমলে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করুন। এগুলো নিজেকে অন্যের তুলনায় ছোট ভাবতে প্রভাবিত করতে পারে। নিজের অবস্থা ও বাস্তবতা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যের আনন্দ-সুখ দেখে নিজেকে হেয় ভাববেন না। 

৮. জীবনে মিনিমালিস্ট থাকার চেষ্টা করুন। অপ্রয়োজনীয় পোশাক, বই, তৈজসপত্র, সন্তানের অব্যবহৃত পোশাক-খেলনাসহ নানা উপকরণ দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিন। 

৯. সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করুন। ঘুমের সময় মোবাইল ফোন বিছানা থেকে দূরে রাখুন। ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক বন্ধ করে রাখুন। কারণ এসবের ওয়েব ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। 

১০. নিয়মিত বাসার প্রতিটি ঘর, স্টোর রুম, বাগান থেকে অপ্রয়োজনীয় উপকরণ পরিষ্কার করুন। মোট কথা বাসার প্রতিটি কোনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। ঘরে নষ্ট হয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র, ভাঙা তৈজসপত্র, পুরান সংবাদপত্র জমিয়ে রাখবেন না। 

১১. নিজেকে ও অন্যকে ক্ষমা করতে শিখুন। নিজের বয়স বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না। প্রতিটি বয়সের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে শিখুন। 

১২. কোনো কাজেই তাড়াহুড়া করবেন না। ধীর-স্থিরভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করুন। অন্যের তাড়াহুড়াতে নিজে বিভ্রান্ত হবে না। 

১৩. প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে কিছু না কিছু সৃজনশীল কাজ করুন। লেখা, ছবি আঁকা, গান গাওয়া, নাচ, বাগান করা, বই পড়া, আবৃত্তি করা ইত্যাদি কিছু না কিছু করুন। 

১৪. হাসি মুখে থাকুন সবসময়, সবার ক্ষেত্রেই। যেসব ঘটনা উত্তেজিত করে, কষ্ট দেয়, মলিন করে তোলে সেসব ঘটনা শোনা, পড়া, দেখা থেকে বিরত থাকুন। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh