নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ১২:২৫ পিএম
জুমার নামাজ। প্রতীকী ছবি
আজান অর্থ আহ্বান করা। প্রতি ওয়াক্ত ও জুমার নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য আজান দেওয়া হয়। আজান শোনার পর দোয়া পড়তে হয়। আজান শোনা ও আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নত। শ্রবণকারীরা আজানের উত্তর মৌখিকভাবে দিতে হয়।
এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, তখন জবাবে মুয়াজ্জিনের মতো তোমরাও তা বলবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৬১১)
আজানের দোয়া: ‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাতা ওয়াদ দারজাতার রফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআত্তাহু; ওয়ারজুকনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।
জুমার দ্বিতীয় আজান অর্থাৎ খুতবার আজানের উত্তর দেওয়া ও দোয়া পড়া সম্পর্কে আলেমদের মতামত হলো- ফেকাহবিদদের নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী জুমার দ্বিতীয় আজানের সময় যখন খতিব সাহেব মিম্বরে উপবিষ্ট থাকেন, তখন এই আজানের উত্তর মৌখিক না দেয়াটা উত্তম। তা সত্ত্বেও কেউ দিতে চাইলে মনে মনে জবাব দিতে পারে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/২৯৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২/৫৮)।
সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব (রাহ.) বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে নামাজ পড়া যাবে না আর ইমাম খুতবা শুরু করলে কথা বলা যাবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৩৪২)
খুতবার সময় যেহেতু চুপ থাকা ও মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা ওয়াজিব তাই আজানের পরপরই ইমাম খুতবা শুরু করে দিলে আজানের দুআ পড়া যাবে না। কিন্তু যদি ইমাম খুতবার জন্য দাঁড়াতে বিলম্ব করেন তবে এ সময় আজানের দোয়াও পড়া যাবে। (ফাতহুল বারী ২/৪৬০; ইলাউস সুনান ২/৮০; আসসিআয়াহ ২/৫৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ২৮২; আততাজরীদ ২/৪৭৭; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৩/২০০)