ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখেছেন শেখ হাসিনা: ইঞ্জিনিয়ার সবুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্ম নিয়ে কখনও রাজনীতি করেননি, বরং ধর্মের কল্যাণে আজীবন কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের কুশিয়ারা বাজার জামে মসজিদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার সবুর বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তথা মসজিদ স্থাপন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব পরিকল্পনায় এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। বাকি মসজিদগুলোর নির্মাণ কাজও শেষের দিকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দর্শন ও দূরদর্শিতা ফুটে উঠেছে এসব মডেল মসজিদে। তিনি যতদিন আছেন, ততদিন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ ‘দাবায়ে’ রাখতে পারবে না।

'সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য এতগুলো মডেল মসজিদ এক বিরল ঘটনা'-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা এবং ইসলামের শান্তির বার্তা চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি, দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, আলিয়া মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অন্যতম।

আবদুস সবুর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ইসলামের খেদমতে সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যান। টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য সুবিশাল প্রান্তর বরাদ্দ করেন বঙ্গবন্ধুই। আজকের বাংলাদেশের মুসলমানদের তাবলিগ জামাতের যে মূল কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ, সেটিও জাতির জনকের অবদান।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যার পরে দেশে প্রকৃত ইসলামি মূল্যবোধের বদলে পাকিস্তান মডেলে ঘৃণা, ধর্মের নামে রাজনীতি, উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দেয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের শান্তিপ্রিয় মুসলিমদের বিপথে পরিচালনার সকল ষড়যন্ত্রই হয় জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে। আর তা করে জামায়াত ইসলাম। এ সময় দেশকে তারা পিছিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের চেয়েও এখন বাংলাদেশের জিডিপি ও এসডিজির অগ্রগতি ভালো। বিভিন্ন অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা ধর্মীয় ও নৈতিক উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছেন। পিতার দেখানো পথ ধরে তিনি জাতিগত সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এই জন্যই দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর ইবাদতের জায়গার নির্মাণ শুধু নয়, সেটিকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন শিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল, শ্রম ও কল্যাণ সম্পাদক খোকন সরকার,কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিএস সুমন, ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জসীম প্রধান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদ আলম, সদর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাহীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক খন্দকার শাহজাহান, উত্তর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মামুন, উত্তর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান টিপুসহ ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh