নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫০ এএম
এক পোশাককর্মী কাজ করছেন। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে শুধু পোশাকই রপ্তানি হতে পারে ১১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু যুক্তরাজ্যের বাজার সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্যের অভাব, অপর্যাপ্ত রপ্তানি প্রণোদনা, ফিন্যান্সিং অপ্রতুলতা ও দক্ষতার অভাবে যুক্তরাজ্যের রপ্তানির সস্প্রসারণ হচ্ছে না।
সম্প্রতি রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং যুক্তরাজ্য সরকারের এফসিডিও আয়োজিত সেমিনারে স্টেকহোল্ডারদের বক্তব্যে রপ্তানি বৃদ্ধিতে ১১ দফা সুপারিশ এসেছে।
র্যাপিডের আয়োজনে সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফসিডিওর ডেপুটি ডিরেক্টর ড. ডানকান ওভারফিল্ড, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফয়জুল ইসলাম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এবং সিইও এ. এইচ. এম. আহসান বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর প্যানেল আলোচনায় চামড়া এবং জুতা শিল্প, কৃষিজাত এবং কৃষিজাত প্রসেসড খাদ্য, মাছ এবং চিংড়ি এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০৩০ সাল নাগাদ রপ্তানির পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে শুধু পোশাকই রপ্তানি হতে পারে ১১ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্যের সম্প্রতি ঘোষিত ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) ইউকে জিএসপির বাংলাদেশের এলডিসি সুবিধা ২০২৯-এর নভেম্বর পর্যন্ত জন্য নিশ্চিত করবে।
এই সুবিধা একইসঙ্গে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের জন্য পোশাক খাত ছাড়াও অন্যান্য খাতগুলোর প্রচারের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের বাজার সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্যের অভাব, পেমেন্টের সমস্যা, অপর্যাপ্ত রপ্তানি প্রণোদনা, অপর্যাপ্ত সরবরাহ ক্ষমতা, ফিন্যান্সিং অপ্রতুলতা এবং দক্ষতার অভাবে যুক্তরাজ্যের রপ্তানির সম্প্রসারণের প্রধান বাধা। এ কারণে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বৃদ্ধিতে ১১ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নানা রকম উত্থান-পতন ঘটছে। দেশে ডলার সংকটে পণ্য এবং বিদ্যুৎ আমদানিতে সংকট চলছে। এ কারণে অনেক খাতে সরবরাহেও ঘাটতি রয়েছে। বিলাসদ্রব্য আমদানি সীমিত করে এবং জরুরি প্রয়োজন না হলে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রপ্তানিতে অনেক খাত ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে।
তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর এক কর্মকর্তা বলছেন, চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে নভেম্বরে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি ১৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। পেয়েছে।
এ অবস্থায় র্যাপিডের সুপারিশগুলো বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক (আইন) শওকত হোসেন। তিনি বলেন, দেশের অর্থানীতিতে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে আনতে রপ্তানি খাতের সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই। আর রপ্তানি খাতের সম্প্রসারণ করতে হলে র্যাপিডের সুপারিশগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।