সারাদিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করতে বলা হলেও অনেকেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারে না। আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন এবং বিভিন্ন ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পানি না খেলেই নয়। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু পানি পান করতে যদি ভালো না লাগে তবে পানির ভাগ থাকে বেশি এমন ফল খাওয়া যেতে পারে। যেমন গরমে পানির ঘাটতি মেটানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তরমুজ খাওয়া। তবে শুধু পানির ঘাটতি মেটানো নয়, এ ছাড়াও তরমুজে রয়েছে নানা গুণ।
এক কাপ তরমুজে রয়েছে প্রায় ৪৫ ক্যালরি শক্তি। এই পরিমাণ তরমুজ খেয়ে প্রতিদিন ভিটামিন ‘এ’র চাহিদার ৭ শতাংশ ও ভিটামিন ‘সি’র ২১ শতাংশ পূরণ করা যায়। কোন কোন উপকারে লাগে তরমুজ-
- ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এই ফলটি শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শরীরে ক্ষত নিরাময়ের জন্য প্রোটিনযুক্ত কোষ কোলাজেনের পরিমাণও বাড়িয়ে তোলে। তরমুজে থাকা বিটা-ক্যরোটিন ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এবং অকালে চুল ঝরে পড়া রুখতে সাহায্য করে।
- পুষ্টিবিদরা বলেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালরির পরিমাণ মাত্র ৩০ গ্রাম এবং শর্করার মাত্রা ৬.২ গ্রাম। যাতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই বললেই চলে। এ ছাড়াও তরমুজে ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বারবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনতে পারে।
- তরমুজে থাকা লাইকোপিন নামক যৌগটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। বয়সজনিত ‘ম্যাকুলার ডিজনারেশন’-এর কারণে চোখে যে ধরনের সমস্যা হয়, তা প্রতিরোধ করতে পারে এই লাইকোপিন।
- তরমুজে থাকা ভিটামিন ‘সি’ দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মাড়ির টিস্যুতে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ রোধ করে এই ফল।
- তরমুজে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, যা ত্বককে স্নিগ্ধ ও সজীব রাখে এবং গ্রীষ্মকালীন ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও দূরে রাখে। তরমুজ স্লাইস করে মুখমণ্ডলের ওপর কিছুক্ষণ রাখলে ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়। এছাড়া তরমুজে থাকা নানা উপাদান বার্ধক্যকে দেরিতে আসতে সহায়তা করে। তরমুজের লাইকোপেন ও বিটা ক্যারোটিন ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে।
- তরমুজে থাকে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপাদান হার্টকে সুস্থ রাখে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ব্ল্যাড প্রেশার কমাতে কাজ করে।
- ব্যায়াম করার পর তরমুজ খেলে ব্যায়ামের সুফল পাওয়া যায় দ্রুত। তরমুজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, মিনারেল ব্যায়ামের পর পেশিতে শক্তি জোগায়।