পুঁজি কমল সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৯ এএম

শেয়ারের দর কমায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এক বিনিয়োগকারী। ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারের দর কমায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এক বিনিয়োগকারী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের পুঁজিবাজারে চলছে ক্রেতা সংকট। যার প্রভাবে কমছে লেনদেন, পতন ঘটছে মূল্যসূচকের। সদ্য বিদায়ি সপ্তাহে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) কমেছে তিন হাজার ৬৯৬ কোটি ৯২ লাখ তিন হাজার ৭৪ টাকা। 

লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে গত রবিবার (১২ মার্চ) লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল সাত লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৯ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৯০ টাকা। আর শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় সাত লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৭ লাখ চার হাজার ১৬ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি কমেছে তিন হাজার ৬৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। 

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২২২টির।

লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৪০ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার ৯৪০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৫ টাকা। অর্থাৎ ৪৪ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫ টাকা লেনদেন কমেছে। 

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৯৮ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩১৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৩ কোটি ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৯ টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৮৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh