নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ১০:০৫ এএম
ডলার গুনছেন এক ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত
চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে রমজান। রোজা ও ঈদের কারণে রমজান মাসে প্রবাসীর তাদের পরিবার-পরিজনের বাড়তি টাকা পাঠিয়ে থাকেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। রমজান উপলক্ষে প্রবাসীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন। এ কারণে চলতি মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ছে।
চলতি মার্চ মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ৮৪ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। এ হিসাবে দৈনিক গড়ে এসেছে ৭ কোটি ডলার। গত বছরের মার্চে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই রেমিট্যান্স বাড়ে। ডলার সংকটের এ সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে ব্যাংকের নিজস্ব প্রতিনিধি পাঠিয়ে প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় গত সেপ্টেম্বর থেকে রেমিট্যান্সে ১০৭ টাকা দর নির্ধারণের আগ পর্যন্ত রেমিট্যান্স বাড়ছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২১০ কোটি এবং আগস্টে ২০৪ কোটি ডলার এসেছিল। এর পর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনো মাসে আর দুই বিলিয়নের ঘর ছাড়ায়নি। সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত অর্থবছর ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কমার পর এবারের সামান্য এ প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়।
বৈদেশিক মুদ্রার খরচের তুলনায় আয় কম হচ্ছে। ফলে আমদানি সংকট মেটাতে চলতি অর্থবছরের এপর্যন্ত রেকর্ড ১০ বিলিয়নডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এক সময়ের ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকা রিজার্ভ কমে এখন ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়নে নেমেছে।