নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন প্রাপ্তিতে দুর্ভোগ কেন

মো. সিফাত ই মেহেদী

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০১:০৮ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কয়েক মাস আগে দেশব্যাপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ৩৭ হাজারের এক বিশাল নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। প্রায় দুই বছরের দীর্ঘ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা তাদের পরিশ্রম, সাধনা ও চূড়ান্ত রকমের ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন। নিয়োগ পেয়েও সেই ধৈর্যের পরীক্ষা শেষ হচ্ছে না।

নতুন যোগদান করা সহকারী শিক্ষকদের প্রথম মাসের বেতন পাওয়ার আশা ম্লান হয়ে যেতে বসেছে। দেশের উপজেলা শিক্ষা অফিস সমূহের আলস্য, ঢিলেমি ও লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেতন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধাপ যেমন: সার্ভিস বুক চালু, পে ফিক্সেশন, ইএফটি ইত্যাদি যেখানে এক সপ্তাহের মাঝে শেষ করে ফেলা সম্ভব সেখানে দেশের অধিকাংশ উপজেলা শিক্ষা অফিস গুলোতে তা দুই মাসেও হচ্ছে না। ফলে বেতন আটকে আছে হাজার হাজার সহকারী শিক্ষকদের।

এ ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসগুলোতে বেতন সংক্রান্ত কোনো কাজে গেলে সেখানকার কর্মকর্তাদের অবহেলা, কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং অনেকক্ষেত্রে তারা ঘুষ দাবি করছেন। এর ফলে শিশুদের গড়ে তোলার নব্য কারিগররা তাদের চাকরিজীবনের শুরুতেই কষ্ট ও আর্থিক সংকটে দিন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, কর্মক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন, ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের সেরাটুকু প্রয়োগ করতে। ফলে সঠিক শিক্ষা হতে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। বিষয়টি আমলে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।

সহকারী শিক্ষক
খারুয়াবাধা কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
রংপুর সদর, রংপুর

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh