জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রোটোকল থাকতে হবে: মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৫ এএম | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩, ০১:২৩ পিএম

মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল

মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল

‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বর্তমানে নীরব অতিমারি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।

তিনি বলেন, এই নীরব অতিমারি মোকাবিলায় এখনই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আর বেশি দেরি করা কারো জন্যে মঙ্গলজনক হবে না। 

গতকাল রবিবার (১৯ মার্চ) ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুর এলাহী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট একটি নীরব ঘাতক-বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের চিত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, এই নীরব অতিমারি মোকাবিলায় আমাদের অবশ্যই জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রোটোকল থাকতে হবে। একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক প্রোটোকল থাকতে হবে। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেটি হলো, দেশের আনাচে-কানাচে ছোট-বড় যত ওষুধের দোকান রয়েছে সেগুলোকে সত্যিকারের আধুনিক ফার্মেসি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ম ম শহীদুল হাসান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড মো আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ভয়াবহতা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণামূলক বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড মো আনোয়ার হোসেন। 

এতে বলা হয়, সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে রোগজীবাণুর প্রতিরোধী হয়ে ওঠাকে একটি নীরব অতিমারি হিসেবে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিষয়ে জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও বেশি উদ্বেগজনক। 

আরও বলা হয়, ২০২১ সালে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেসের সমীক্ষা অনুযায়ী, আমাদের দেশে প্রয়োজন ছাড়াই ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, যেখানে স্বল্প মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই চিকিৎসা যথেষ্ট ছিল। 

আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিউমোনিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ১৮ ভাগ শিশু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনে ভুগছিল। ‘কারবাপেনেম’ যা প্রাণঘাতী পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি হিসাবে চূড়ান্ত অবলম্বন হিসেবে দেওয়া হয়, বাংলাদেশে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে এটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্ব দেন সেমিনারের আলোচকরা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh