ইন্টারপোলের রেড নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৬ পিএম | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম
(উপরে বাম থেকে) পিকে হালদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নূর চৌধুরী, শরীফুল হক ডালিম (মাঝে বাম থেকে ) ফরিদপুরের রাজাকার আবুল কালাম আজাদ, জাহিদ হোসেন খোকন, বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর (নিচে বাম থেকে) আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলাকারী সিলেটের আবুল হারিছ চৌধুরী, খুনি জিসান আহমেদ, পুলিশ হত্যার আসামী দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাফ খান
পুলিশ হত্যার আসামী দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাফ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির পর দেশে আলোচনার
শীর্ষে এখন আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।
এর আগে, ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) নামে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির ওই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা আলোচনায়
এসেছিল। এবার যেন এই
আলোচনার পালে হাওয়া লেগেছে।
দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাফ খান ওরফে রবিউল
ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারির পর আজ
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা এলাকার এনায়েত বাজার পুলিশ
ফাঁড়ি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের আরাভের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির তথ্য
জানান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে আরাভের বিরুদ্ধে এমন কোনো নোটিশ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে পাওয়া
যায়নি।
তবে
ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, বাংলাদেশ
সংস্থাটির কাছে চেয়েছে এমন ৪৭ জন এবং বাংলাদেশে জন্ম এমন ৬২ ব্যক্তিসহ ১৯৫টি সদস্য
দেশের ৭ হাজার ১৭ জনের নাম ঝুলছে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বোর্ডে। তবে ইন্টারপোলের
ওয়েবসাইটে রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবার নাম থাকলেও অনেকের ছবি
নেই। কে কোন জেলার ঠিকানায় তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।
মূলত
১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির প্রধান কাজ বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করা।
জাতিসংঘে
পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক এই সংস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যা, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক
অস্ত্র মজুত, টাকা
ও স্ট্যাম্প জাল করা, পুলিশ
কর্মকর্তা হত্যা, আওয়ামী
লীগের সভায় বোমা হামলা, যুদ্ধাপরাধ, ধর্ষণ, লুটপাট ও গণহত্যাসহ নানা
অপরাধে জড়িত ব্যক্তির নাম রয়েছে।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ফরিদপুরের রাজাকার আবুল কালাম আজাদ, রাজাকার জাহিদ হোসেন খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার মো. হোসেন, আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলাকারী সিলেটের আবুল হারিছ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের রাতুল আহমেদ বাবু, বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নূর চৌধুরী, শরীফুল হক ডালিম, এমএ রাশেদ চৌধুরী, খান মোসলে উদ্দিন ওরফে খান মোসলেম উদ্দিন, খুনি জিসান আহমেদ, নবি হোসেন, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, তানভির ইসলাম জয়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মানব পাচারকারী জাফর ইকবাল, তানজিরুলসহ ৪৭ জন।