কুটির শিল্পে স্বাবলম্বী আঁখি

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৯ পিএম

সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন শারমিন আক্তার আঁখি। ছবি: সংগৃহীত

সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন শারমিন আক্তার আঁখি। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় আঁখির বাবা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। সংসারে নেমে আসে অভাব। আঁখি প্রথমে টিউশনি, পরে সেলাই মেশিনে কাজ করে সংসার চালাত। এভাবেই সংগ্রাম করে বিএ পড়া অবস্থায় মাদারীপুরের উত্তর রমজানপুর গ্রামের মো. হাসিবুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় আঁখির। পরে স্বামীর সহযোগিতায় গড়ে তোলেন নারী উন্নয়ন সংস্থা।

এর পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন শারমিন আক্তার আঁখি নিজে সফল উদ্যোক্তা ও স্বাবলম্বী নারী। সঙ্গে এলাকার শতাধিক নারীকেও করেছেন স্বাবলম্বী। 

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরঠেঙ্গামারা এলাকায় ২০১৯ সালে মাদারীপুরের কালকিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে নারী উন্নয়ন সংস্থার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সহযোগিতায় কালকিনি উপজেলার অসহায় বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত নারীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন শারমিন আক্তার আঁখি।

২০টির মতো সেলাই মেশিন দিয়ে পাট, বেত, হোগলাপাতা, কচুরিপানা, তালপাতা, নারিকেলের শলা, কাগজ, পুরনো শাড়িসহ নানা উপাদান দিয়ে তৈরি করেন বিভিন্ন পণ্য। এই কাজে নিয়মিত শতাধিক নারী কাজ করেন। নারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নারী উদ্যোক্তা শারমিন আক্তার আঁখি বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে কুটির শিল্পের ১০টি আইটেমের উপর ট্রেনিং নিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছি এবং শতাধিক নারীকে স্বাবলম্বী করতে পেরেছি। 

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমাদের মাদারীপুর জেলায় অনেক নারী রয়েছে যারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে অন্য নারীদের স্বাবলম্বী করেছেন। নারীদের এই কাজের জন্য সরকারের বিভিন্ন আর্থিক সহযোগিতাসহ প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। সরকারের এই উদ্যোগ নারীদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh