কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:১১ পিএম

আকস্মিক ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘড়-বাড়ি। ছবি: সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

আকস্মিক ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘড়-বাড়ি। ছবি: সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আকস্মিক ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কয়েকটি ইউনিয়ন। আধপাকা বাড়িগুলোর টিনের চাল উড়ে গেছে। ঝড়ে কেউ হতাহত না হলেও রুহুল কুদ্দুস নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানার জন্য তালিকার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এই ঝড়ে ধ্বসে গেছে প্রায় দুশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। আকস্মিক এই ঝড়টি শ্যামনগরের রমজাননগর, কৈখালি ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে চলে গেছে।

মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মোহন কুমার মন্ডল জানান, বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রখর রোদ ছিল। হঠাৎ করে চারদিক অন্ধকার হয়ে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের তাণ্ডব এতই বেশি ছিল যে, কাঁচা ঘরবাড়ির দেওয়াল ধ্বসে গেছে। এছাড়া গাছপালা পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের কালিঞ্চী, মধ্যপাড়া, গেটপাড়া, কলোনিপাড়া ও খাসখামারসহ কয়েকটি গ্রামে ৫০টির মত কাঁচা ঘরের দেওয়াল ধ্বসে সেগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া বৃষ্টির সাথে শিলা পড়ে ক্ষেতের ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা জানান, টেংরাখালি, পারশেখালীসহ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ১৫-২০টি মত ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এছাড়া কিছু ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

কৈখালি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের বৈশখালি, পশ্চিম কৈখালি ও কাঠামারি এলাকার ৩০টির মতো অস্থায়ী ঘরবাড়ি ঝড়ে উড়ে গেছে। এছাড়া বেশকিছু কাঁচা বাড়ি ধ্বসে পড়েছে। পূর্ব কৈখালি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রুহুল কুদ্দুস নামের এক জেলে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি ঝড়ের সময় নদীতে মাছ ধরছিলেন বলে জানা গেছে।

শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন বলেন, আকস্মিক ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কয়েকটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি ও গাছপালা। প্রাথমিক ভাবে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা যাচাই বাছাই করে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। তবে এসব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, আকস্মিক শুরু হওয়া ঝড়টি কালবৈশাখী। এ ধরনের ঝড় হঠাৎ করে আরম্ভ হয় আবার থেমে যায়। এসব ঝড়ের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। তবে খুব বেশি ক্ষতি করার আগেই এ ধরনের ঝড় নিঃশেষ হয়ে যায়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh