আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৭ এএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৮ এএম
পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হলে এমন বিধ্বংসী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। গতকাল শনিবার (২৫ মার্চ) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ঘোষণা দেন। সম্প্রতি ইউক্রেনে ডিপ্লিটেড ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ গোলাবারুদ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তারপরেই রাশিয়া পাল্টা জবাব দিলো। বাস্তবে এমনটা ঘটলে পারমাণবিক যুদ্ধ বাধতে বেশি সময় লাগবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। আর সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বুক থেকে বহু রাষ্ট্র বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
গতকাল শনিবার পুতিন বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেন। এর আগে ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের ডিপ্লিটেড ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ গোলাবারুদ পাঠানোর ঘোষণার পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পুতিন বলেছিলেন, ‘এমনটি করা হলে রাশিয়া এর জবাব দিতে বাধ্য হবে।’
এর পরপরই গতকাল শনিবার বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিলেন তিনি।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পুতিন বলেন, এখানে অস্বাভাবিক কিছু নেই। দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এটা করছে। মিত্রদেশগুলোতে অনেক আগেই কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে তারা।
বিষয়টি নিয়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ ধরে এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে এক হচ্ছে প্রতিবেশী নর্ডিক রাষ্ট্রগুলো। রাশিয়াকে রুখতে একটি শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে নর্ডিক দেশ-সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক।
দেশগুলোর প্রতিরক্ষা নিশ্চিতে এই বিরাট বহরে থাকবে ২৫০টি আধুনিক ফ্রন্ট লাইন যুদ্ধ বিমান।
গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) যৌথ বিবৃতিতে চার দেশের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, ন্যাটোর মতোই তারা জোট বেঁধে কাজ করছে। লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে ১৬ মার্চ একটি প্রাথমিক চুক্তিতে সই করার কথাও জানিয়েছেন চার দেশের বিমান বাহিনীর কমান্ডাররা।