পালংখালীতে বালু নেই তবু ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, উদ্দেশ্য পাহাড় কাটা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩২ এএম

বালি উত্তোলনের নামে চলছে পাহাড় কাটার মহা ধ্বংসযজ্ঞ। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

বালি উত্তোলনের নামে চলছে পাহাড় কাটার মহা ধ্বংসযজ্ঞ। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী খালে বালি উত্তোলনের নামে চলছে পাহাড় কাটার মহা ধ্বংসযজ্ঞ। উক্ত খালে বালি উত্তোলনের নামে পাহাড়কাটার ইজারা বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবী পরিবেশবাদীদের।

ইতিপূর্বে স্থানীয় সচেতন মহল, জনপ্রতিনিধি ও পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের মুখে থাইংখালী খালে ইজারা বন্ধ হলে ও পালংখালী খালে বালি উত্তোলনের জন্য কেন  ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

এদুটি খালে কোন বালি নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দীন চৌধুরী ও উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমসহ এলাকাবাসী। গত দুই বছরে পালংখালী ও থাইংখালী খালের বালি উত্তোলনের নামে ৫৭টি পাহাড় নিচিহ্ন করে দিয়েছে খালের বালি উত্তোলনকারীরা।

এদিকে পালংখালী খালে কোন বালি না থাকলে ও কেন বালি ইজারার নামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকার সচেতন মহল। তারা পালংখালী খালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবী জানিয়েছেন। 

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোজাফফর আহমদ জানান, পালংখালী খালে বালি উত্তোলনের জন্য ইজারা দেয়া হলে ভবিষ্যতে পাহাড় বলতে আর কিছুই থাকবে না। তাই অবিলম্বে পালংখালী খালে ইজারা বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবী সর্বমহলের। এমনকি থাইংখালী খালের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসন বালি উত্তোলনের জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

থাইংখালী ও পালংখালীতে গত বছর বালি উত্তোলনের নামে শতশত অবৈধ ট্রাক, মিনিট্রাক ও ডাম্পার দিয়ে পাহাড় কেটে বিরানভূমি বানিয়েছিল বালি খেকোরা। এ ব্যাপারে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা করেছিল। এ সময় জব্দ করা হয় মাটি কাটার স্কেভেটর, বালি ভর্তি ডাম্পার এবং মিনিট্রাকসহ বালি ও মাটি কাটার সরঞ্জামাদি। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করেছেন এসব পাহাড়খেকো বালি সিন্ডিকেট।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, যেসব খাল ইজারা দেয়ার মত মনে হয়েছে মূলত সেসব খালের বালি ইজারা দেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যদি অনুসন্ধান করে দেখা যায় বালি নেই খালে, বালি উত্তোলনের নামে পাহাড় কাটা হতে পারে তাহলে সেই খালের ইজারা বন্ধ রাখা হবে। এমনকি খালের বালি উত্তোলনের ইজারা নিয়ে পাহাড় কাটা হলে সাথে সাথে ইজারা বাতিল করা হবে। 

এদিকে পালংখালী খালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবীতে এলাকায় প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন স্থানীয়রা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh