নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৮ পিএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম
‘মুজিবের বাংলাদেশ’ শীর্ষকস্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইমেইল সার্ভার হ্যাক করা হ্যাকার চত্রু কোনও অর্থ দাবি করেনি বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
আজ রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হ্যাকাররা বিমানের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি প্রসঙ্গে বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, হ্যাকাররা টাকা দাবি করেছে বলে যে কথাটা উঠেছে সেটি সঠিক নয়। এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ বিষয়ে বিমান আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। টাকা দাবি করার ঘটনা ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।
হ্যাকাররা বেশি ক্ষতি করতে পারেনি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হ্যাকাররা ফায়ারওয়ালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। এ কারণে তারা ক্ষতিও বেশি করতে পারেনি। তারা তেমন কোনো তথ্য নিতে পারেনি। সাইবার অ্যাটাক হলে যা কিছু করতে হয়, তা বিমানের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। জিডি করা হয়েছে, সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ সময় পাশে থাকা বিমানের এমডি শফিউল আজিমও বলেন, টাকা চাওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
কেন ৯ দিনেও বিমানের ইমেইল সার্ভার হ্যাকারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা যায়নি, জানতে চাইলে এমডি শফিউল আজিম বলেন, বিমানের পরিচালনায় বা অপারেশনাল কোনো কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি, যথারীতি কাজ করছে। কোনো বিষয়ে অসুবিধা হয়নি। আজকেও কাজ চলছে। আমরা আশা করি, আগামীকাল সোমবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে এ ঘটনার একটি পরিপূর্ণ চিত্র দিতে পারব।
বিমান সাইবার হামলার শিকার হতে পারে-এমন আগাম সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছিল কি-না, জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, এ ধরনের কোনো সতর্কবার্তা দেয়া হয়নি। যৌথভাবে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। এই দলের কাজ শেষ হলে জানা যাবে। তবে বিমানের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিমানের নিরাপত্তাব্যবস্থায় গাফিলতির কারণে হ্যাকাররা এ ঘটনা ঘটাল কি না, জানতে চাইলে এমডি বলেন, আমাদের কোনো ঘাটতি থেকে থাকলে সেগুলো আমরা সামনে তুলে নিয়ে আসব। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঠেকানো যায় সেটি নিয়েও বিমান কাজ করবে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ কোনো একসময় বিমানের ই-মেইল সার্ভার ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়। এরপর কয়েক দিন সংস্থাটির ই-মেইল সার্ভারের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে বিকল্প উপায়ে তা চালু করা হয়।
ম্যালওয়্যার একধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে তথ্য চুরি করে নিতে পারে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর পেছনে থাকা হ্যাকাররা। সূত্র জানায়, ই-মেইল সার্ভার হ্যাকড হওয়ার পর কয়েক দফায় সতর্ক করে বিমানের কাছে ৫০ লাখ ডলার চান হ্যাকাররা। তাঁরা বলেন, টাকা দেওয়ার পর বিমানকে সব তথ্য ফেরত দেবেন, সার্ভার সচল করবেন।
তবে শুরু থেকেই হ্যাকারদের টাকা দাবির বিষয়টিকে অস্বীকার করে আসছে বিমান। এমন অবস্থায় ২৩ মার্চ বিকেলে হ্যাকারেরা বিমানকে আরেকটি বার্তা পাঠান। এই বার্তায় বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে আপনারা বলছেন, কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি, কিন্তু আপনারা ভুল।’