নেত্রকোণায় শিলাবৃষ্টি-ঝড়, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম

পূর্বধলায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর। ছবি: নেত্রকোণা প্রতিনিধি

পূর্বধলায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর। ছবি: নেত্রকোণা প্রতিনিধি

জেলার পূর্বধলায় আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে আধঘণ্টার ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই উপজেলার অন্তত সাড়ে সাতশো হেক্টর জমির বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে বলেছে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষিবিভাগ। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে এখনো কাজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

ওই উপজেলার ১১ ইউনিয়নের গোহালাকান্দা, খালশাউর, নারান্দিয়া, বিশকাকুনি ইউনিয়নে কৃষকের বেশি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে নেত্রকোণা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নের প্রায় তিনশো হেক্টর জমির বোরো ফসল ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার।

পূর্বধলা শালদিঘা গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কবির বলেন, আকস্মিক ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আধপাকা ধান ক্ষেত একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। মাসকান্দা গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় আধঘণ্টা স্থায়ী শিলাবৃষ্টিতে রবিশষ্য, উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি  সাধিত হয়েছে।

এদিকে নেত্রকোণা সদর উপজেলার মৌগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান খান জানান, মৌগাতী ইউনিয়নের হলুইদাটি গ্রামে বেশকয়েকটি ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও শিলাবৃষ্টিতে কাঞ্চনপুর, ফাইচকা, নওয়াপাড়া, কয়ারকান্দা, মুজুটিয়া, গদ্দি এলাকায় ব্যাপক ইরি-বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

গোহালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ফজল বলেন, গোহালাকান্দা ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে শিলাবৃষ্টির কারণে রবিশষ্য ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তাছাড়া শালদিঘা হামিদপুর ও কামালপুর গ্রামে গাছপালা ও ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়া খলিশাউর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে বেশ কিছু আধপাকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

পূর্বধলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির ফলে উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নারান্দিয়া, খলিশাউর ও গোহালাকান্দা ইউনিয়নে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় সাড়ে সাতশো হেক্টর জমির বোরো ধান শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে খলিশাউর ইউনিয়নের প্রতাপপুর, মাসকান্দা ও হাপানিয়া গ্রামে ফসলের বেশি ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জরিপ করছি।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা কাজ করছে। পরে সব শেষে বলা যাবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh