সাংবাদিক আটক ও মামলা, সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৫ পিএম

সম্পাদক পরিষদ। ছবি: সংগৃহীত

সম্পাদক পরিষদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং তাকে আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ।

আজ বুধবার (২৯ মার্চ) সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮/এর ২৫(২), ২৬(২), ২৯(১), ৩১(২) এবং ৩৫(২) ধারায় মামলা ও আটকের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সাংবাদিকতাসহ বাকস্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধিচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। 

সাংবাদিক, আইনবিদ, মানবাধিকারকর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকেও আইনটির পরিবর্তন, পরিমার্জন, বিয়োজন ও সংযোজনের বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ, সুপারিশ ও উদ্বেগ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, আইনটি তৈরির সময় থেকেই সম্পাদক পরিষদ এবং সাংবাদিকরা এ আইনের বিষয়ে উদ্বেগ ও আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। আইনমন্ত্রী এ আইনের বিভিন্ন রকম অপব্যবহার এবং সেই প্রেক্ষিতে আইনটি সংশোধনের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও এ আইনের মাধ্যমে সংবাদকর্মী ও মুক্তমত প্রকাশকারী ব্যক্তিরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

সম্পাদক পরিষদের ভাষ্য হলো কোনো সংবাদে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ ও মামলা করতে পারেন। কিন্তু সেটি না করে সরাসরি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দায়ের হচ্ছে। তাই সাংবাদিকতার স্বাধীন ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দ্রুত সংশোধনসহ সাংবাদিক শামসুজ্জামানসহ সব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি করছে সম্পাদক পরিষদ। একই সঙ্গে এ আইনে কেউ গ্রেপ্তার বা আটক থাকলে অবিলম্বে তাদেরও মুক্তি দাবি করেছে সম্পাদক পরিষদ।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২৬ মার্চ) দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ প্রকাশ করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর।

তবে অসঙ্গতির বিষয়টি নজরে আসলে তা প্রত্যাহার করে নেয় প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ আবারও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। 

প্রতিবেদনটির প্রতিবেদক ছিলেন শামসুজ্জামান। পরে আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে তাকে সাভারের বাসা থেকে সিআইডির পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh