মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১০:২৫ পিএম
পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন। ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে রেললাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
আজ বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে রেললাইনের ৭ মিটার কংক্রিট ঢালাই করার মধ্য দিয়ে সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেলপথের নির্মাণকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আজ বিকেলে বাকি থাকা ৭ মিটারে ঢালাইয়ের পর পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হলো। এই কাজটি শেষ করতে পারায় আমরা আনন্দিত।
আগামী ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এই প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের মাওয়া স্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব রেলপথে ৪২ কিলোমিটার। এই দূরত্বের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। সেতুতে রেলপথের একটি স্লিপার বসানো বাকি ছিল।
ওই স্লিপার মঙ্গলবার চীন থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর সন্ধ্যায় তা প্রকল্প এলাকায় আনা হয়। রাতে স্লিপারটি সেতুর রেলপথে বসানো হয়। সেতুতে তা বসানোর পর সাত মিটার কংক্রিটের ঢালাই আজ বিকেলে শেষ করা হয়।
পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, ৪ এপ্রিল রেলমন্ত্রী আমাদের সময় দিয়েছেন বিধায় সে দিন আমরা গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করে দেখবো। এ পথে ডিজাইন-স্পিড ১২০ কিলোমিটার থাকলেও ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে পরীক্ষামূলক টেস্ট চালানো হবে।