ভালো কাজের জন্য চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি: সুনেরাহ

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০১ পিএম | আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০৬ পিএম

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: সংগৃহীত

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: সংগৃহীত

চলতি প্রজন্মের প্রতিভাবান অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে অভিনয়ে এসে বাজিমাত করেছেন। প্রথম ছবি, ‘ন’ডরাই’-এ অভিনয় করে জিতেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

সুনেরাহ বিনতে কামাল। 

সুনেরাহ অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘মশারি’ চলে গেছে অস্কারে। এ ছাড়া সুনেরাহ কাজ করেছেন ওয়েব ফিকশনেও। সেখানেও হয়েছেন প্রশংসিত। তবে তিনি কাজ করছেন বেছে বেছে। তাই তো তার ছবির সংখ্যা কম।

দেশকাল পত্রিকার সঙ্গে এক দীর্ঘ আলাপে সুনেরাহ তুলে ধরেছেন তার ভাবনা-দর্শন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক। 

মিডিয়ায় কাজের শুরুর দিককার কথা জানতে চাই। কীভাবে এ ভুবনে জড়িয়ে গেলেন?

সত্যি বলতে মনে নেই। খুব ছোটবেলা থেকে নাচ করতাম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। পেশাদার কাজ শুরু করি ২০১১ সালে। নাচের মাধ্যমেই র‍্যাম্পের জন্য ডাক পাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের থিমের উপর ফ্যাশন শো হবে, সেজন্য নাচ জানে এমন মেয়ে খোঁজা হচ্ছিল। না বুঝে যাওয়া। একটি শো করলাম। তখন অনেক ছোট ছিলাম। ও-লেভেল ও এ-লেভেল পরীক্ষার জন্য কাজে বিরতি দিতে হয়। পুরোদমে কাজ শুরু করি ২০১৩ সালে। প্রথম ফটোশুট করি এক্সটেসির জন্য। এরপর আড়ং। একে একে অন্যান্য ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ শুরু হয়। মডেলিংয়ে এভাবেই জড়িয়ে গেলাম।

ছোটবেলায় নাচের পাশাপাশি স্কুলে থিয়েটার করতাম। শিল্পকলায় উৎসব করতাম। এ ধরনের কাজের মধ্যেই ছোটবেলা কেটেছে। আর প্রথম ছবিতে চুক্তি করলাম ২০১৮ সালে, তানিম রহমান অংশুর ন’ডরাই। এরপর করলাম নুহাশের ‘মশারি’। ওয়েবের কিছু কাজ করেছি এর মাঝে। এখন চলছে দীপঙ্কর দীপনের ‘অন্তর্জাল’-এর কাজ। মাঝেমধ্যে অভিনয়ের বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছি।  

সুনেরাহ বিনতে কামাল। 

‘ন’ডরাই’-তে অভিনয় করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এখন সে কথা মনে পড়লে কেমন লাগে?

ইচ্ছে অনেক কিছু করার। তখনই এগোতে পারি যখন জেদ কাজ করে। সে সময় আমি মডেলিং করছি। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির মেয়ে। দর্শক গ্ল্যামারাস লুকে দেখে অভ্যস্ত। কথায় কথায় অনেককে বলেছিলাম, আমার থিয়েটারের অভিজ্ঞতার কথা। অভিনয়ের ইচ্ছের কথাও বলতাম। তখন মানুষজন বলত, মডেলদের দিয়ে অভিনয় করানো কঠিন কাজ। এসব শুনে চুপ ছিলাম। কিন্তু মনের মাঝে জেদ কাজ করত, নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। এটা কেমন কথা, মডেলদের ভাঙা যায় না। আমি যদি চাই অবশ্যই নিজেকে ভাঙতে পারব।

‘ন’ডরাই’-এর আয়েশা আমার বিপরীত চরিত্র। সে কক্সবাজারের স্থানীয় মেয়ে। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। আমি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করা মেয়ে। সে সময় ঠিকমতো বাংলাও বলতে পারি না। আয়েশা সাদামাটা দেখতে। সাধারণ আর দশজন মেয়ের মতো। তখন মনে হয়েছিল, এ কাজটি করতে পারলে প্রমাণ করতে পারব আমাকে দিয়ে যে কোনো কাজ করানো সম্ভব। দ্বিতীয়বার যাতে কেউ না বলে, মডেলদের দিয়ে কিছু করানো যাবে না। সবাইকে দিয়ে সবকিছু করানো সম্ভব। যদি তার ইচ্ছে থাকে। সে যদি পরিশ্রমী হয়। যদি কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকে। এসব কারণে এ কাজটি করেছিলাম। এ ছাড়া সার্ফিং শেখার যে চ্যালেঞ্জ ছিল তাতে আগ্রহ লেগেছে। আমি বিশ্বাস করি, কমফোর্ট জোনের বাইরে না গেলে মানুষ বড় হতে পারবে না। একটা সময় মনে হয়েছিল, না পারলে নাই। কিন্তু চেষ্টা করব। এখান থেকে ফিরে যাব না। বডি ডাবল দিয়ে করব না। নিজে সার্ফিং শিখব। চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করব। সবকিছু মিলিয়ে ‘ন’ডরাই’ করা। আমি আসলে চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি যদি কাজটি সুন্দর হয়। 

সুনেরাহ বিনতে কামাল। 

প্রথম সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর স্বীকৃতি। অনুভূতি নিশ্চয়ই অনন্য ছিল?

সত্যি বলতে বিষয়টি বুঝে উঠতে কষ্ট হচ্ছিল। আমি কাজের মাঝে ডুবে থাকা মানুষ। বাইরের জগৎ নিয়ে চিন্তা কম করি। কাজটি যাতে ভালো হয় সে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। সিনেমা মুক্তির পর সাক্ষাৎকারে ক্যামেরার সামনে কী বলতে হবে, দর্শক কীভাবে আমাকে গ্রহণ করবে-এসব ভেবে টেনশন হচ্ছিল। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর খুশি হয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম পরিবার খুব খুশি হয়েছে। এবার তারা নিশ্চিত হতে পারবে, অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পা‌রি। মানুষজন আমাকে যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, যে সম্মান আমাকে দেয়া হয়েছে-আমার কাছে প্রথম দিকে চাপ মনে হচ্ছিল। আমি আরও অনেক শিখতে চাই। সব কাজ যে ভালো হবে তা নয়। 

আমি চেষ্টা করে যাব। প্রথম কাজে এত বড় সম্মাননার পর অন্য কাজ সে মানের না হলে মানুষজন যে প্রতিক্রিয়া দেখাবে; তা নিতে পারব কি না এ নিয়ে ভাবছিলাম। সমালোচনা শুনেছি। সমালোচনার ফলে পরের কাজ ভালো করা যায়। তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে আপসেট হয়ে যাই। আমিও তো একজন মানুষ। কঠিন সময় গেছে। এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি।  

‘ন’ডরাই’-এর পর অন্য ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন; কিন্তু সেভাবে দেখা যাচ্ছে না কেন?

অনেক প্রস্তাব এসেছে। আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, মন থেকে না টানলে ভালো কাজ করতে পারব না। যেটায় ভালো করতে পারব না, তা আরেকজনের জন্য আটকে রাখব না। মিডিয়াতে এ সময়ের সবাই অনেক কষ্ট করছে। আমার জন্য তাদের জায়গা আটকে রাখতে চাই না। আমি নেতিবাচকতায় কান দেই না। আমাদের জীবনের সময় অনেক কম। এ অল্প সময়ে যতটুকু পারি কাজ করে যেতে চাই। 

‘অন্তর্জাল’ ছবিতে যুক্ত হলেন কী করে? 

একদিন পরিচালক জানালেন, আমাকে তার একটি ছবিতে নিতে চান। আমার অভিনয় তার ভালো লাগে। এরপর তার অফিসে গেলাম। চিত্রনাট্য পড়ে ভালো লাগল। সেদিনই চুক্তিবদ্ধ হয়ে যাই ছবিটিতে। কারণ গল্পটা ভালো লেগেছিল। সাইবার যুদ্ধ নিয়ে প্রথম থ্রিলার। ছবিতে যে বার্তা আছে তা সবার কাছে পৌঁছানো জরুরি। আমি নিজেও সেগুলো জানতাম না। এখানে আমার চরিত্রের নাম প্রিয়ম। রোবোটিক্সের ছাত্রী। চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। মাঝে অনেক দিনের বিরতি দিতে হয়েছে নানা কারণে। থাইল্যান্ডে শুটিং করেছি। আর অল্প কদিনের শুটিং বাকি। 

সুনেরাহ বিনতে কামাল। 

এ ছবির শুটিংয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন?

বাণিজ্যিক ছবির জন্য ভালো বাজেট দরকার হয়। আমরা বাণিজ্যিক ছবিগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট পাই কি না সন্দেহ আছে। ‘অন্তর্জাল’ একটি বাণিজ্যিক ছবি। অনেক কষ্ট করতে হয় কাজের সময়। প্রায়ই তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করতে হয়। অভিনয়ের পেছনে সময় দেয়া যায় না। একটি সেট দীর্ঘসময় রাখা যায় না। এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। কনসার্টের সিকোয়েন্স ছিল। সিয়াম পরিচিত মুখ। তাকে নিয়ে কনসার্টে শুটিং করা কষ্টসাধ্য। পুলিশের সহযোগিতায় শুট করছিলাম। তখন শেষ গান চলছিল। কনসার্ট শেষের পথে। তাড়াহুড়ো করে শুট শেষ করতে হতো। তাই করছিলাম। তখন কেউ একজন ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। 

ছবিটির শুটিং করতে থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন। অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

আমরা সবাই খুব কষ্ট করেছি। দিনরাত খেটে কাজটা শেষ করেছি। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল বলেই আমরা ওখানে শুটিং শেষ করতে পেরেছি। এ ছবিটিতে অন্য এক সুনেরাহকে দেখবে দর্শক। আগে তাকে এভাবে কখনো দেখেনি। 

নূহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তার নির্দেশনায় শর্টফিল্ম ‘মশারি’তে অভিনয় করেছেন। সে অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে ‘মশারি’র শুটিং শেষ হয়। নুহাশের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। প্রথমেই সে আমার কাছে আসেনি। বরং জানতে চেয়েছিল কাদের এ চরিত্রে নেওয়া যায়। পরে একদিন ইতস্তত করে জানতে চায় কাজটি করব কিনা। তার অনুরোধে কাজটি করলাম। টানা পাঁচ দিন না ঘুমিয়ে শুটিং শেষ করেছিলাম। নুহাশ তখনো জানত না কেন ‘মশারি’ বানাচ্ছে। গল্পভাবনা ও তার কাজের প্রতি ডেডিকেশনের ফলে আমিও শতভাগের চেয়ে বেশি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

সুনেরাহ বিনতে কামাল। 

ছবিটি অস্কারের লাইভ অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম শাখায় মনোনয়ন পেয়েছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?

মশারির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন হলিউডের জর্দান পিল ও রিজ আহমেদ। অস্কারের মতো একটি জায়গায় সিলেক্ট হওয়া বড় একটি বিষয়। এ অর্জনও কম নয়। মশারির এতদূর যাওয়া আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। দেশে ও দেশের বাইরে আমার অভিনয়, নুহাশের কাজ নিয়ে এখনো প্রশংসা পেয়ে যাচ্ছি। নুহাশকে নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। ওকে প্রথম থেকে দেখছি। ওর ছবি কেউ প্রযোজনা করতে চাচ্ছিল না। নিজে নিজেই সব করেছে। ওর বড় গুণ হচ্ছে, কে কী বলল তা কানে নেয় না। সে তার কাজে মনোযোগ দেয়। সেখান থেকে শক্তি পায়।

মাঝে কিছু ওয়েব ফিকশনে দেখা গেছে আপনাকে। নিয়মিত হবেন?

ওয়েবে কাজ করে আরাম পাইনি। তাড়াহুড়োর মাঝে কাজ করতে হয়। আমি এমন একজন শিল্পী, যে চরিত্রের মাঝে ঢোকে; দিনের পর দিন প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে চাই। ওয়েবে সে সময় হয় না। আমার অনেক কাজ দরকার নেই। আমি চাই ভালো ভালো কাজ করতে। তাই ওয়েবে আর সেভাবে কাজ করা হচ্ছে না। কারণ জানি না কত ভালো কাজ করতে পারছি। অবশ্যই যদি ভালো পরিচালক পাই কাজ করব। 

সুনেরাহ বিনতে কামাল। 

আমাদের সিনেমা জগতের যে সংস্কৃতি, তাতে টিকে থাকা কতটা চ্যালেঞ্জিং?

অতীতের ইতিবাচক বিষয়গুলো থেকে যদি শেখার কিছু থাকে, তাহলে শিখব। নেতিবাচক বিষয় নিয়ে চর্চা করছি না। এসব নিয়ে ভাবছি না। আমি আমার মতো করে কাজ করব। নতুন সংস্কৃতি তৈরি করব কাজের মাধ্যমে। যতটুকু সম্ভব ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির চেষ্টা করছি। জানি না একা পারব কি না। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রজন্মের সবাই ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ। সবাই কষ্ট করছে। নেতিবাচকতা দূর করে ইতিবাচক সংস্কৃতি তৈরিতে। পাশাপাশি মিডিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রয়োজন লগ্নিকারকদের সহযোগিতা। আশা করি, আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করলে ইন্ডাস্ট্রি এগুবে। 

আপনাকে বিজ্ঞাপনচিত্রেও দেখা যায় মাঝে মাঝে।

বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ করছি। সিনেমার শুটিংয়ের জন্য সময় পাওয়া যায় না। আমি অভিনয়ে এখনো নতুন। এখানে নিজের একটি পরিচিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছি। এ জায়গাটা ঠিক হলে নিয়মিত হয়তো কাজ করব। 

আপনি একটি ফ্যাশন হাউসে চাকরি করছেন। পাশাপাশি অভিনয়ও চলছে। দুটো কাজের সমন্বয় কীভাবে করেন?

আমি প্রায় সাত বছর এক্সটেসিতে চাকরি করছি। এই কাজ আমার প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। নিজের একটি জায়গা। শান্তির জায়গা। অনেক সময় কষ্ট হয়। এর পাশাপাশি মিডিয়ার কাজ সামলাতে হয়। আমার মনে হয়, ব্যস্ত থাকলে ভালো থাকি।

আজকের সুনেরাহ হতে পরিবার ও বন্ধুদের সহযোগিতা কেমন ছিল?

বিস্তারিত বলতে চাই না। প্রতিবন্ধকতা ছিল। আবার সহযোগিতাও ছিল, আছে। সবকিছু মিলিয়ে নিজের কাজটাই করে যাচ্ছি।

সুনেরাহ বিনতে কামাল। 

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রায়ই ঘোরাঘুরির ছবি দেখা যায়। আপনি কি ভ্রমণপ্রিয়?

ভ্রমণ আমার মেডিটেশন। না হয় ঠিক থাকা যায় না। ভ্রমণ করলে মানসিকভাবে স্থির থাকা যায়। ভ্রমণে অনেক ধরনের মানুষের সঙ্গে মেশা যায়। অনেক কিছু শেখা যায়। অনেক জায়গা দেখা যায়। নেতিবাচকতা মনে ঠাঁই পায় না। প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসা যায়। প্রকৃতি দেখলে বোঝা যায় আমরা কত ক্ষুদ্র প্রাণী। আমাদের কষ্ট, যন্ত্রণা যে কত ক্ষুদ্র-তা বোঝা যায়।

সুনেরাহ কোথায় থিতু হবে?

ঢাকা খুবই ভালোবাসি। জ্যাম ছাড়া এ শহরের সবই ভালো লাগে। আমি চাই এখানেই থাকতে। হয়তো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অভিনয় চালিয়ে যাব। 

নায়িকাদের প্রেম-বিয়ে নিয়ে দর্শকের ব্যাপক কৌতূহল। আপনার এ বিষয়ে কী দর্শন? 

আমার প্রেম আমার কাজ। কাজকে খুব ভালোবাসি। আমি কাজে মনোযোগী। কাজ করে যেতে চাই। জানি না কতদিন পারব। কতটুকু পারব। যতদিন পারব, দর্শককে ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে চেষ্টা করব।  

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh