পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:০২ পিএম

 সুরমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি

সুরমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের অবহেলায় সাবিত্রী রানী (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে বোদা উপজেলার সুরমা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রসূতির স্বজনরা বিক্ষোভ করেন ওই ক্লিনিকে। খবর পেয়ে বোদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

গতকাল রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া চাপাতি এলাকার সাবিত্রী রানী (২২) নামে এক প্রসূতি শনিবার বিকেলে ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। এক পর্যায়ে ক্লিনিক পক্ষ প্রসূতিকে ক্লিনিকে ভর্তি করে ব্যবস্থাপত্র দেন এবং জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য রুমে নিয়ে যান। সেখানে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র বোদার মেডিকেল অফিসার সার্জারি চিকিৎসক ডা. রহমতুল্লাহ ও আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হুদা ছিলেন। অস্ত্রোপচার শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে কাউকে কিছু না বলে চিকিৎসকরা চলে যান। এক পর্যায়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্সে তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নেন। তবে এর আগেই নবজাতকসহ প্রসূতি মারা যান।

প্রসূতির স্বামী কমল রায় জানান, তার স্ত্রী সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। সিজারের জন্য তাকে বিকেল ৪টার দিকে অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যু হলে কাউকে কিছু না বলেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।

এ বিষয়ে ক্লিনিকের পরিচালক ও বোদা সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারি সুরমা বেগমের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কলটি কেটে দেন।

বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. রাজিউর করিম রাজু জানান, সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তির জন্য আনা হয় তাকে। তবে এর আগেই কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেছেন রোগী মারা গেছেন। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। মৃত ওই নারীর শরীরে ক্যানোলা ও ক্যাথেটার লাগানো ছিল।

দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার, মোছা. রুনা লায়লা জানান, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh