বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড

পুড়ছে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন, আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ৫০ ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫৩ এএম

বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে। ছবি: সংগৃহীত

বেচাকেনা শেষে অনেক দোকানের লোকজন রাতে বাড়ি না ফিরে দোকানেই ঘুমিয়ে থাকেন। হতাহতের বিষয়ে মাথায় আসলেই তারা আঁতকে উঠছেন। কত দোকানি যে আগুনে পুড়ে গেছে সেটি মনে হলেই মাথা কাজ করা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারা এ আগুনের ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েছে। তাদের স্বপ্ন, প্রাণ দাউ দাউ করে পুড়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবাজারে অবস্থানকালে গুলিস্তান মার্কেটের এক দোকানি এভাবে এই প্রতিবেদককে আহাজারি করে নিজের মনের কথা জানান।

এদিকে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিমান ও সেনাবাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার।

আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ২৬টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া হতাহতের কোনো খবরও জানাতে পারেননি তিনি।

এরইমধ্যে ভয়াবহ এ আগুন ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের ভবনে। অতিরিক্ত মানুষ সেখানে যাওয়ার কারণে আগুনে নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের।

দোকানিদের অভিযোগ করে জানান, আগুন লাগার খবর পেলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেরি করে আসায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে আগুন লাগে গুলিস্তান মার্কেটে। সেখানে থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গবাজার মার্কেটে। এখন পাশের অন্য ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে। কাপড়ের মার্কেট হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে মার্কেটের পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে গেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh