কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:২৫ পিএম
গ্রেপ্তারকৃত দুইজন। ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চাঞ্চল্যকর কাজল হোসেন (৪৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া কোম্পানি কমান্ডারের কার্যালয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব কুষ্টিয়া কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালি সরদারপাড়া এলাকার মৃত লোকমান হোসেন সরদার ওরফে নুকা সরদারের দুই ছেলে আব্দুল মতলেব (৪২) ও আব্দুল মাবুদ (৩৫)।
র্যাব কুষ্টিয়া কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান জানান, গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালি গ্রামে কাজল হোসেনকে তার প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
ওই ঘটনার পরদিন ১৬ মার্চ তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজলের মৃত্যু হয়।
আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে, এক মাস আগে বিয়ে বাড়িতে ঘটা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কাজলের ভাতিজার সঙ্গে প্রতিবেশই মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই এর কথা-কাটাকাটির হয়।
এ ঘটনার কারণে গত ১৫ মার্চ বিকেলে মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই কলেজ থেকে ফেরার পথে কাজলসহ আরও লোকজন নিয়ে তাদের উদ্দেশে যান। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি বাধে। এ ঘটনার কারণে ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কাজল তার ভাতিজাকে নিয়ে মাবুদের বাড়ির সামনে যান। সেখানে তারা গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দিলে কাজল ও মাবুদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির শুরু হয়। পরে এক পর্যায়ে কাজলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম করা হয়।
এদিকে নিহত কাজলের পরিবারের দাবি, তিনি বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়েছিলেন।
র্যাব আরও জানায়, সেই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কাজলের ভাতিজা মো. শামীম হোসেন বাদী হয়ে ১৫ মার্চ দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, গোয়েন্দা তথ্যে র্যাব জানতে পারে পলাতক আসামিরা ঢাকায় আছেন এবং তাদের আটক করতে একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অবশেষে তাদের আটক করা সম্ভব হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কাজল হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানায় র্যাব।