নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:১০ পিএম
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিন। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছেন, কমিটিতে জেলা দায়রা জজ সমমর্যাদার একজন ও নওগাঁর মুখ্য বিচারিক হাকিমকে রেখে এ কমিটি গঠন করতে। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
একই সঙ্গে তদন্ত চলার সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত (সুলতানা জেসমিনকে আটক, জিজ্ঞাসাবাদ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া) র্যাব কর্মকর্তাদের সংস্থাটির সদর দপ্তরে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৫–এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল গত ২২ মার্চ সকালে সুলতানা জেসমিনকে নওগাঁ শহর থেকে আটক করে। এনামুল হককে সঙ্গে নিয়েই র্যাব ওই অভিযান চালায়।
এনামুল হকের অভিযোগ, সুলতানা জেসমিন ও আল-আমিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন বিভিন্ন ব্যক্তিকে।
আটকের পর সুলতানা জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রথমে তাঁকে নওগাঁর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহীতে নেওয়া হয়। গত ২৪ মার্চ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে।
সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর পর জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুগ্ম সচিব এনামুল হক একটি মামলা করেছেন, যেটি রেকর্ডের সময় ২৩ মার্চ বিকেলে। এ মামলার আসামি জেসমিন ও তাঁর কথিত সহযোগী মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট আল-আমিন।