নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৪২ পিএম
মঙ্গল শোভাযাত্রা। ফাইল ছবি
ধর্মীয় বিশ্বাসে
আঘাত এবং ইসলাম ধর্মের অপমানের অভিযোগ তুলে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার (৯
এপ্রিল) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.
মাহমুদুল হাসান।
নোটিশে সংস্কৃতি
মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
ঢাকার জেলা প্রশাসক ও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়,
‘পহেলা বৈশাখ’ বাঙালি
সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাঙালি জনগণ
একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত
দুঃখের বিষয় এই যে, ‘মঙ্গল
শোভাযাত্রা’ নামে একটি কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখের মধ্যে
ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত এই কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে পহেলা
বৈশাখের কোনো সম্পর্ক নেই। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ১৯৮৯ সালে পহেলা বৈশাখে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’
নামে এক ধরনের পদযাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’কে ‘মঙ্গল
শোভাযাত্রা’ হিসেবে নামকরণ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা
হয়, ‘মঙ্গল’ শব্দটি একটি
ধর্মীয় সংশ্লিষ্ট শব্দ। সব ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে ‘মঙ্গল’
প্রার্থনা করে থাকেন। এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দৈত্য আকৃতির
পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর
ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে,
যা বাংলাদেশ সংবিধানের
অনুচ্ছেদ ২-ক-এর সরাসরি লঙ্ঘন। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দৈত্য আকৃতির পাখি,
মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর
ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা
হচ্ছে এবং ইসলাম ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে, যা দণ্ডবিধির ২৯৫-ক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
‘মঙ্গল
শোভাযাত্রা’ বাঙালি সংস্কৃতির কোনো অংশ নয় দাবি করে নোটিশে বলা হয়, এটা সম্পূর্ণ কৃত্রিম উদ্ভাবন। মূলত দেশের
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এবং বাংলাদেশে
বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই ‘মঙ্গল
শোভাযাত্রা’ নামক কৃত্রিম কার্যকলাপের উদ্ভাবন করা হয়েছে।
আইনি নোটিশটি
পাওয়ার পর অবিলম্বে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশে অনুরোধ করা
হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলেও
এতে উল্লেখ করা হয়েছে।