পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা: আরাভ খানের বিরুদ্ধে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:২০ পিএম

আলোচিত দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান। ছবি: সংগৃহীত

আলোচিত দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আলোচিত দুবাইয়ে পলাতক সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খানের বিরুদ্ধে নিহতের বোনসহ চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ রবিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল বিন আতিকের আদালতে নিহতের বোন রওশন আক্তার, দুলাভাই মোশারফ হোসেন খান, মামুন ইমরানকে যে বাসায় খুন করা হয় ওই বাসার কেয়ারটেকার মিরাজুল ইসলাম ও সিকিউরিটিগার্ড মানিক সাক্ষ্য দেন।

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে ২মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। মামলাটিতে ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), ইমরানের বন্ধু রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩) এবং দুই কিশোরী মেহেরুন নেছা স্বর্ণ ওরফে আফরিন ওরফে আন্নাফী (১৬) ও ফারিয়া বিনতে মীম ওরফে মাইশা (১৬)। আসামিদের মধ্যে রবিউল ও সুরাইয়া পলাতক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আন্নাফী ও মাইশা জামিনে আছেন এবং অপর আসামিরা কারাগারে রয়েছেন। আন্নাফী ও মাইশার বিচার শিশু আদালতে হচ্ছে।

২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাতে বনানীর একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভুক্তভোগী মামুন ইমরান খানকে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন উলুখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাঁশের ঝোপে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই দিনগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে রহমত উল্লাহ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, মামুন ইমরান খান টেলিভিশনের বিভিন্ন ক্রাইম সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন। রহমত উল্লাকে তার বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দেন আসামি আফরিন। রহমত উল্লাহ ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ বন্ধু মামুনকেও যাওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েই খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।

এরপর তার মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কালীগঞ্জের জঙ্গলে পেট্রোল দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। ওই বছরের ১০ জুলাই বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে রহমত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।   

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh