বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩২ পিএম
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন। ছবি: বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৯ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দুর্গা রানী সিকদারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে তাকে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি এ সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিবেন। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এরপর ২১ মার্চ সকাল ১১ টার দিকে প্রধান শিক্ষিকার ডাকে ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সেই সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেওয়ার হুমকি দেন। এসময় দুই অভিভাবককে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।
অভিভাবকদের অপদস্ত ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয়ে যান। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ২৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন বিভাগ থেকে বদলি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে ওই আদেশ দেওয়া হয়।