অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:০১ পিএম | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:০২ পিএম
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারালো তৃণমূল কংগ্রেস। দেশে জাতীয় দলের সংখ্যা আট থেকে কমে হয়েছে ছয়।
২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দেয়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সেই বছর পাঁচ রাজ্যে ছয় শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ৩৪টিতে। সাত বছর পর সেই স্বীকৃতি হারালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ধাক্কা খাওয়ার পর জাতীয় দলের স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সে যাত্রায় স্বীকৃতি বাতিল হয়ে যায়নি। বস্তুত স্বীকৃতি অক্ষুন্ন রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরা, গোয়া, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হলো না।
জাতীয় দলের স্বীকৃতি ধরে রাখতে তিনটি শর্তের একটি অন্তত পূরণ করতে হয়। সেই শর্ত অনুযায়ী ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে দুই শতাংশের বেশি ২২ কেন্দ্রে জেতে তৃণমূল। কিন্তু শুধু বাংলায়, তিনটি রাজ্য থেকে নয়।
তা ছাড়া শর্ত অনুযায়ী তিনটি রাজ্যে লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে ছয় শতাংশ ভোট পায়নি তৃণমূল। গোয়ায় পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ ভোটপ্রাপ্তি পিছিয়ে দিয়েছে তাদের। পশ্চিমবঙ্গকে বাদ রাখলে মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে ১৪ শতাংশ সমর্থন স্বীকৃতি অটুট রাখার পক্ষে পর্যাপ্ত ছিল না। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভোটপ্রাপ্তি ছিল নোটার থেকেও কম। বাংলার বাইরে শুধু মেঘালয় বিধানসভায় তাদের পাঁচ সদস্য রয়েছেন।
মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশে রাজ্য দলের স্বীকৃতিও হারিয়েছে তৃণমূল। মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে না পারায় পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য দলের তকমা গিয়েছে আরএসপি-র। সিপিআই এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারিয়েছে। শর্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ছয় শতাংশ ভোট বা দুটি কেন্দ্রে জয় পেতে হয় বিধানসভা নির্বাচনে। গত নির্বাচনে এ রাজ্যে বামেরা কোনো আসনই পায়নি। বামফ্রন্টের শরিক দুই দল ভোট পেয়েছিল নগণ্য।
তৃণমূল জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারালেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেয়েছে। জন্মের ১১ বছরের মধ্য়ে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়া নিঃসন্দেহে বড় ব্যাপার।